|
|
|
|
বিধায়কের উপরে হামলার চেষ্টা, কাজিয়ায় কংগ্রেস-তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইসলামপুর |
ইফতার পার্টিতে যাওয়ার পথে চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের উপরে হামলার অভিযোগ উঠল। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার ভদ্রকালী এলাকায়।
বিধায়কের অভিযোগ, এ দিন তিনি ওই এলাকায় যাওয়ার সময়ে একদল লোক তাঁকে লক্ষ করে বোমা ও গুলি ছোড়ে। ওই ঘটনায় বিধায়ক অক্ষত থাকলেও তাঁর তিন অনুগামী জখম হন। চোপড়ার এই নির্দল বিধায়কের অভিযোগ, “ইফতার পার্টিতে যাওয়ার সময়ে খবর পাই, সিপিএম এবং তৃণমূলের আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী আমাদের এক সমর্থককে মারধর করছে। খবর পেয়ে সেখানে গেলে ওই দুষ্কৃতীরা আমাদের লক্ষ করে বোমাবাজি করে। গুলিও চালায়। আমাদের তিন সমর্থক জখম হয়েছেন।” আহতেরা ইসলামপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। |
বিধায়ক হামিদুল রহমান |
পরে ইসলামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন হামিদুল রহমান। জেলার পুলিশ সুপার মিলনকান্ত দাস বলেন, “ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমালের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে এএসপি ও এসডিপিওকে পাঠানো হয়েছে।” এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তর দিনাজপুরে কংগ্রেস ও তৃণমূলের ‘তিক্ত’ সম্পর্কের চেহারাটা আরও একবার প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। দু’দলের মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বিধায়কের অভিযোগ, “বিধানসভা ভোটে আমার কাছে হেরে গিয়ে আক্রোশবশত এই হামলা চালিয়েছে সিপিএম আর তৃণমূল। |
|
ওই দুই দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ এই হামলার সঙ্গে যুক্ত।” ইসলামপুর শহর তৃণমূল সভাপতি গৌতম গুপ্তের অবশ্য দাবি, “বিধায়কের অভিযোগ ভিত্তিহীন। বরং ওরাই আমাদের সমর্থকদের উপরে হামলা চালায়।” জেলা তৃণমূল সভাপতি অসীম ঘোষও বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের নেতা-কর্মীই যুক্ত নন।” তাঁর অভিযোগ, “বিধাসভা নির্বাচনে জোটের তরফে প্রার্থী (তৃণমূলের) থাকা সত্ত্বেও কংগ্রেসের মদতে হামিদুল ইসলামপুর কেন্দ্রে জেতেন। এ দিন যে ঘটনা ঘটেছে, তা আসলে কংগ্রেসেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পরিণাম। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস সর্বত্রই অপপ্রচার করছে। এই ঘটনার পরেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাদের দলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন বিধায়ক।” জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছেন, “বিধায়কের উপরে যদি হামলা হয়ে থাকে, তবে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমাদের দলের কেউই জড়িত নন। আমাদের নামে তৃণমূলই অপপ্রচার করছে। সিপিএমের দুষ্কৃতীরা তৃণমূলে ঢুকে অপকর্ম করছে।” স্থানীয় সিপিএম নেতা স্বপন গুহনিয়োগী বলেন, “ওখানে সংগঠন নেই। আমাদের কেউই সংঘর্ষে জড়িত নয়।” |
|
|
|
|
|