টুকরো খবর

অনেকটাই সুস্থ দাঁতাল
পরপর দু’দিন বন্দুক থেকে ছোড়া ‘পেনকিলার’ ও ‘অ্যান্টিবায়োটিক’ ইঞ্জেকশনে কিছুটা সুস্থ হল জখম দাঁতাল। শুক্রবার জয়পুরের মাচানতলা ও শনিবার পাত্রসায়রের বাঁশগাড়ার জঙ্গলে পশু চিকিৎসকদল ও ঘমুপাড়ানি গুলি ছোড়ায় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ওই হাতিটির চিকিৎসা শুরু করেন বন দফতরের কর্তারা। ছিলেন ডিএফও (বিষ্ণুপুর) কুমার বিমল, এডিএফও (বিষ্ণুপুর) নীলরতন পাণ্ডা, জয়পুরের রেঞ্জ অফিসার স্বপন ঘটক, পাত্রসায়রের রেঞ্জ অফিসার ডি কে ঝা-সহ বনকর্তারা। প্রথম দিন বন্দুক থেকে দু’টি ইঞ্জেকশন ছোড়ার চেষ্টা হলেও একটি হাতির শরীরে ঢোকে। তাতেই অন্য একটি হাতির লড়াইয়ে জখম দাঁতালটির ডান পায়ের ক্ষত কিছুটা শুকিয়ে যাওয়ায় দ্বারকেশ্বর নদ পেরিয়ে হাতিটি শনিবার চলে যায় বাঁধগাড়ার জঙ্গলে। শনিবার দুপুরে সেখানেই দ্বিতীয় দফায় চিকিৎসা শুরু হয় হাতিটির। বিষ্ণুপুর মহকুমা পশু হাসপাতালের দুই চিকিৎসকের সঙ্গে এ দিন উত্তরবঙ্গের জলদাপাড়া থেকে আনা হয় হাতির চিকিৎসায় অভিজ্ঞ উৎপল শর্মাকে। বন্দুক থেকে আরও দু’টি ইঞ্জেকশন হাতিটির শরীরে ঢোকানো হয়। ডিএফও বলেন, “চিকিৎসায় ভাল সাড়া পাওয়া গিয়েছে। প্রথম দিন ইঞ্জেকশন পড়ার পরে হাতিটি অনেকটা পথ হেঁটেছে। দগদগে ঘা অনেকটাই শুকিয়েছে। আরও ওষুধ দেওয়া চলছে।” বন দফতর সূত্রের খবর, রবিবার হাতিটিকে পাত্রসায়রের খুলামুড়ির জঙ্গলে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। রেঞ্জ অফিসার বলেন, “হাতিটি প্রায় ৮ কিলোমিটার পথ এ দিন হেঁটেছে।” আরও দু’এক দিন পর্যবেক্ষণের পরে পায়ের ঘা আরও কিছুটা শুকোলে ওষুধ স্প্রে করা হবে।

হদিস মেলেনি ভোলানাথের
মৌমাছির কামড়ের ‘ভয়ে’ পালিয়ে যাওয়া কুনকি হাতি ভোলানাথের রবিবারও হদিস মেলেনি। এ দিন বৈকুণ্ঠপুর বন বিভাগের কাঠামবাড়ির জঙ্গলে লোহার শিকলের দাগ দেখে বনকর্মীরা তল্লাশিতে নেমেছেন। ভোলানাথের পায়ে লোহার শিকল পরানো রয়েছে। কুনকি হাতিটিকে গরুমারায় ফেরত নিয়ে যেতে কলাখাওয়া জঙ্গলে অন্য কয়েকটি কুনকি হাতি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ির বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক বলেন, “বনকর্মীরা ভোলানাথের খোঁজে তল্লাশি করছেন। সেটির হদিশ মিললে কুনকি হাতির সাহায্য নিয়ে গরুমারায় ফেরানোর চেষ্টা হবে।” শনিবার জঙ্গল থেকে পিলখানায় ফেরার পথে মৌমাছির হামলায় ভোলানাথ ছাড়াও ডায়না এবং চন্দন নামে তিনটি কুনকি হাতি পালিয়ে যায়। পরে ডায়না নিজেই পিলখানায় ফিরে আসে। চন্দনকে গরাতি বিটের জঙ্গলে ঘোরাঘুরি করতে দেখে বনকর্মীরা ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু হদিশ নেই ভোলানাথের। মৌমাছির পালের ভয়ে হাতি পালায় কি না প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। হস্তি বিশেষজ্ঞ ধৃতিকান্ত লাহিড়ি চৌধুরী বলেন, “মৌমাছির ভয়ে হাতি পালিয়েছে তা মেনে নিতে পারছি না। হাতির চামড়া যথেষ্ট পুরু। মৌমাছিরা হাতিকে বিব্রত করতে পারে না।”

সর্পদষ্ট হয়ে মৃত্যু
সাপের ছোবলে মৃত্যু হল এক মহিলার। মোসলেম বিবি (২৭) নামে ওই মহিলার বাড়ি স্বরূপনগরের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের গোবরা গ্রামে। রবিবার সকালে খাট থেকে নামার সময় তাঁর পায়ে সাপ ছোবল মারে। বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান।

হাতির ছানার দেহ উদ্ধার
জামশেদপুরের কাছে দলমা পাহাড়ের পাদদেশে একটি হাতির ছানার মৃতদেহ আজ সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। দলমার ডিএফও আর্তত্রাণ মিশ্র এ খবর জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “হাতির ছানাটির বয়স আনুমানিক দু’বছর। তার দেহে একটি গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। জঙ্গলে কোনওভাবে আঘাত পেয়েই সে জখম হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে। তার জেরে এই মৃত্যু।” বন দফতর সূত্রের খবর, সরাইকেলা-খরসোঁয়া জেলা থেকে ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূমের দিকে একটি হাতির পাল আসছিল। ছানাটি ওই দলের সঙ্গেই ছিল। মৃত হাতিটির দেহের ময়না তদন্ত করানো হচ্ছে ।

পাখা মেলে বসে রয়েছে বসন্তবৌরি। রাজীব বসুর তোলা ছবি।

খাঁচায় বন্দি টিয়ার সঙ্গে ভাব জমানোর চেষ্টায় এক খুদে। ছবি দেবাশিস রায়


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.