|
|
|
|
বনগাঁয় হনুমানের উপদ্রব, জখম ২১ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
একটি হনুমানের উপদ্রবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বনগাঁয়। বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত হনুমানের আঁচড়-কামড়ে জখম হয়েছেন অন্তত ২১ জন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কারও মুখে ৫-৬টি, কারও মুখে ১৫টি সেলাইও করতে হয়েছে। কাউকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক সৌরীন পাল বলেন, “হনুমানের উপদ্রবের খবর পেয়েছি। আহতদের দেখতে ও হনুমানটিকে ধরতে বিট অফিসার-সহ কয়েক জনকে পাঠানো হয়েছে।” |
|
ভ্যানরিকশায় সওয়ারি |
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাটার মোড়, ছয়ঘরিয়া, খেদাপাড়া, পশ্চিমপাড়া, ১ নম্বর রেলগেট, হাইস্কুলের মোড় প্রভৃতি এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হনুমানটি। তার আক্রমণের শিকার মূলত যুবকেরাই। তবে মাঝেমধ্যে সে অন্য রকম আচরণও করছে। লাফিয়ে চড়ে বসছে চলন্ত ভ্যানে বা গাড়ির ছাদে। ঢুকে পড়ছে চায়ের দোকানে। হাত বাড়িয়ে বিস্কুট বা অন্য খাবার নিচ্ছে। শান্ত ভাবে বসে থাকছে মানুষের পাশে। কিন্তু মেজাজ বিগড়ে গেলেই তার অন্য মূর্তি। যার শিকার হতে হয়েছে হাবরার কাঞ্চন নন্দী, বনগাঁর ভবানীপুরের তন্ময় মণ্ডল বা পশ্চিমপাড়ার মিঠুন বসুকে। সকলেই এখন বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রবিবারই হনুমানটি পেট্রাপোলে এক যুবককে কামড়ে দেয়। |
|
হনুমানের কামড়ে আহতেরা। |
কাঞ্চনবাবু বলেন, “বনগাঁয় শিমুলতলায় ঝুলন মেলাতে দোকান দিয়েছিলাম। সেখানেই যাচ্ছিলাম। বাটার মোড়ে বাস থেকে নেমে হাঁটছি, এমন সময় হঠাৎ হনুমানটি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুখ থেকে মাংস তুলে নিল।” তন্ময়বাবুর কথায়, “খেদাপাড়া গ্রামে মাসির বাড়িতে উঠোনে বসেছিলাম। হনুমানটি এসে মাথায় হাত বোলাতে থাকে। হঠাৎই রেগে গিয়ে ঠোঁটে কামড়ে দিল। ১০টি সেলাই পড়েছে।” পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা মিঠুনবাবুকে সে আক্রমণ করে চায়ের দোকানে ঢুকে। একই অভিজ্ঞতা হয়েছে মতিগঞ্জের ইটভাটার শ্রমিক রাহুল রায় এবং কীর্তন দলের সদস্য প্রসেনজিৎ দাসেরও।
বনগাঁ হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক অম্লান দে বলেন, “হাসপাতাল থেকে জখম যুবকদের এআরভি প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে। জখম খুবই মারাত্মক। ওই হনুমানটিকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। সেটি মারা যায় কি না তা-ও দেখা খুব গুরুত্বপূর্ণ।” বনগাঁর পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা পল্লব মিত্র বলেন, “আমরা রাস্তায় বেরোতে রীতিমতো ভয় পাচ্ছি। হনুমানটিকে দেখে অবশ্য হিংস্র মনে হচ্ছে না। বিষয়টি বন দফতরকে জানিয়েছি।” |
নিজস্ব চিত্র। |
|
|
|
|
|