হজারে
কথা
কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গে অণ্ণা হজারের অনশনের কোনও প্রভাবই পড়েনি? রবিবার বিকেলে শহরে নেমে সেটা শুনে বেজায় খুশি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। খানিকটা ‘আশ্বস্তও’ বটে। অন্তত রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের তেমনই দাবি। কলকাতা বিমানবন্দরে প্রথামাফিক তাঁর সঙ্গে রাজ্যের কতিপয় দলীয় নেতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন প্রদেশ সভাপতি তথা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরের নেতা শাকিল আহমেদ। তখনই এআইসিসি সদস্য সমীর চক্রবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে জানান, এ রাজ্যে কোথাও অণ্ণার অনশনের কোনও প্রভাব পড়েনি। জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যমের একাংশ অণ্ণাকে নিয়ে নাচানাচি করছে শুধু। কেন্দ্রের উচিত রামদেব-কান্ডের মতোই অণ্ণা-কান্ডেও ‘কঠোর’ অবস্থান নেওয়া। শুনে দৃশ্যতই খুশি প্রধানমন্ত্রী সমীরবাবুকে বলেন, তিনি ওই কথা শুনে ‘তৃপ্ত’ বোধ করছেন। তারপর হাসতে হাসতে যোগ করেন, কলকাতায় নামা ইস্তক এর চেয়ে ভাল খবর আর শোনেননি!

লোকপাল বিল কী? ‘অণ্ণার পাঠশালায়’ তাঁর সমর্থকদের তা বোঝাচ্ছেন ‘শিক্ষিকা’ কিরণ বেদী! কিরণ নিজেই রামলীলা ময়দানের এই নাম দিয়েছেন। অণ্ণার সমর্থনে প্রতিদিন রামলীলা ময়দানে যাঁরা ভিড় করছেন, তাঁদের অনেকেই লোকপাল বিল সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানেন না। তাঁদের কথা ভেবেই অণ্ণার এই পাঠশালা। সমর্থকদের উদ্দেশে কিরণ বলেন, “কীসের জন্য আমরা লড়ছি, সে টুকু অন্তত জেনে রাখুন।”

অণ্ণার দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ল অস্ট্রেলিয়াতেও। মেলবোর্ন ও সিডনিতে বহু ভারতীয় অণ্ণার সমর্থনে মোমবাতি হাতে মিছিল করলেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান এবং দেশাত্মবোধক গান গাইতে গাইতে প্রায় ৭০ জন তরুণ ভারতীয় মেলবোর্ন শহরে জড়ো হন। এক ভারতীয় ছাত্রের কথায়, “দেশ থেকে বহু দূরে থাকলেও এক জন ভারতীয় হিসাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই লড়াইকে সমর্থন জানানো আমাদের কর্তব্য।”
অণ্ণা হজারের মধ্যে এ বার গাঁধীজি বা দেশের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর ছায়া দেখছেন অনেকেই। রাজস্থানের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের মধ্যে তর্ক শুরু হয়েছে অণ্ণা লালবাহাদুর শাস্ত্রীর ভাই বা গাঁধীজির কোনও আপনজন কি না-তা নিয়ে। বুন্দি জেলার টিচার্স কলোনির ৬৫ বছরের এক মহিলার দাবি, অন্না হজারেকে দেখতে অনেকটা লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মতো।

একেই বলে ধরি মাছ, না ছুঁই পানি। যেমন অভিনেতা শাহরুখ খান। অণ্ণা হজারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, অণ্ণার লড়াইকে তিনি সমর্থন করেন, কিন্তু এই বিষয়টির বিভিন্ন দিক গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনাও করা উচিত। ৪৫ বছরের অভিনেতার কথায়, “আমরা সকলেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে সমর্থন করি। কিন্তু বিষয়টির বিভিন্ন দিক রয়েছে। তা নিয়ে আলোচনা করেই এই বিষয়ে এগোনো উচিত।”

পাশে দিল্লির বাঙালি
অণ্ণার সমর্থনে এ বার পথে নামলেন দিল্লির বাঙালিরাও। চিত্তরঞ্জন পার্কের ইস্ট পাকিস্তান ডিসপ্লেসড পার্সন (ইপিডিপি) সংস্থা ও একাধিক আবাসিক সংগঠনের পক্ষ থেকে রবিবার অণ্ণার সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়। মোমবাতি, প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিলে পা মেলান মহিলারাও। ইপিডিপি-র কর্তা পীযূষ রায় বলেন, “চিত্তরঞ্জন পার্ক ছাড়াও গ্রেটার কৈলাস(২), অলকনন্দা এলাকার বাসিন্দারা মিছিলে যোগ দেন।” প্রায় পাঁচশো জনের মিছিলটি দেড় ঘণ্টায় চার কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.