|
|
|
|
বেআইনি কল সেন্টারে হানা দিল টেলিকম দফতর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ব্যারাকপুর |
রাজ্যে এই প্রথম হদিশ মিলল বেআইনি কল সেন্টারেরও। উত্তর চব্বিশ পরগনার ব্যারাকপুরে। টেলিকম দফতর হানা দিয়ে ওই কল সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, রাজ্যে বেআইনি ভাবে আরও কল সেন্টার চলছে। ওই ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে টেলিকম দফতরের ‘এনফোর্সমেন্ট রিসোর্স অ্যান্ড মনিটরিং (টার্ম) সেল।’ওই সেল-এর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল অতনু ঘোষ জানিয়েছেন, অনুমতি ছাড়া কল সেন্টার চালালে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। কারণ, নিয়মিত বিদেশে কথা বলার জন্য সরকারকে টাকা দিতে হয় কল সেন্টার চালানো সংস্থাকে। কিন্তু ব্যারাকপুরের ওই কল সেন্টার সংস্থাটি তা করছিল না। তা ছাড়া, কল সেন্টার থেকে নিয়মিত বিদেশি গ্রাহকদের সঙ্গে কথা হয় ইন্টারনেট মারফত। এতে খরচ কম হয়। তার জন্য আলাদা করে ‘সময়’ কিনতে হয় ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার কাছ থেকে। এদের মধ্যে ভারতীয় সংস্থা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে বিদেশি সংস্থাও। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, এই ‘সময়’ কিনতে হয় কেবল ভারতীয় সংস্থার কাছ থেকেই। বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে ‘সময়’ কিনলে বিদেশে করা ফোন সংক্রান্ত নথি ভারত সরকারের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে। অতনুবাবুর কথায়, “দেশের নিরাপত্তার জন্য এই ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ন্ত্রণ জরুরি।” যে সংস্থার কাছ থেকে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে ব্যারাকপুরের ওই কল সেন্টারটি চালানো হচ্ছিল, সেই সংস্থাকেও সতর্ক করেছে টেলিকম দফতর। ব্যারাকপুরে এক যুবক তাঁর নিজের নামে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে কল সেন্টারটি চালাচ্ছিলেন। কিন্তু গত কয়েক মাস নিয়মিত দীর্ঘ সময় ধরে ওই যুবকের নামে ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে দেখেও সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি কেন খোঁজখবর নেয়নি, তা জানতে চাওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা দানকারী সেই সংস্থার কাছ থেকে। টার্ম সেল-এর ডিরেক্টর মনীশ দাসের কথায়, “নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি সংস্থারই গ্রাহকদের উপরে নজর রাখার কথা এবং ইন্টারনেট অত্যধিক ব্যবহার হলে সেখানে হানা দেওয়ারও কথা। এ ক্ষেত্রে সে নিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে।” রাজ্যে আর কোথাও এই ধরনের বেআইনি কল সেন্টার চলছে কি না, তা-ও খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|