|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
দুষ্টু মাছ |
বাড়িতে একটা অ্যাকোয়ারিয়াম আছে। তাতে অনেকগুলো দেখতে সুন্দর মাছ আছে। এক দিন আমার বাবিয়া (বাবা) অনেকগুলো ছোট্ট ছোট্ট লাল টুকটুকে মাছ কিনে এনে অ্যাকোয়ারিয়ামে ছেড়ে দিয়েছিল। মাছগুলো খুব মজা করে একসঙ্গে ঝাঁক বেঁধে ঘুরে বেড়াত, আমি সব সময় ছোট্ট মাছগুলোকে দেখতাম। কিন্তু দু’এক দিন বাদে দেখি ছোট্ট মাছগুলো কমে যাচ্ছে। এক দিন দেখলাম একটা বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে নিচ্ছে। তখন বুঝতে পারলাম ওই মাছটাই ছোট্ট মাছগুলোকে খেয়ে নিয়েছে। আমার দেখে খুব কষ্ট হল। ওরা তো ছোট্ট, তাই নিজেদের বাঁচাতে পারল না। আমি কাঁদতে কাঁদতে বাবিয়াকে বললাম আর কোনও দিন তুমি ছোট মাছ কিনো না। ওদের জন্য আমার কষ্ট হয়। তখন বাবিয়া ওই বড় মাছটিকে আলাদা করে অন্য জায়গায় রেখে দিল। আর আবার অনেক ছোট লাল টুকটুকে মাছ কিনে অ্যাকোয়ারিয়ামে ছেড়ে দিল। আর ওদেরকে কেউ খেতে পারত না। আমারও কষ্ট কমে গেল।
ঋষিকা সেনগুপ্ত। আপার নার্সারি, দ্য সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল, মালদা
|
|
|
মাছরাঙারা থাকবে কোথায়? |
আমাদের বাড়ির কাছেই সেনহাটি ঝিল। রোজ স্কুলে যাওয়া-আসার পথে দেখতাম দু’তিনটি মাছরাঙা পাখি ঝিলের ধারে বসে আছে। কখনও কখনও দেখতাম ওরা ঝিলের থেকে মাছ ধরে নিচ্ছে। বাবাকে প্রশ্ন করে জেনেছিলাম ওরা ঝিলের ধারের ঝোপঝাড়ের মধ্যে বাসা করে থাকে। ঝিল থেকে মাছ ধরে খায়। তা ছাড়া ঝিলের পাড়ে বসবাসকারী ব্যাঙ, পোকা প্রভৃতি ধরেও খায়। এখন ঝিলের সংস্কার হচ্ছে। সমস্ত জল তুলে ফেলে পাড় সিমেন্ট দিয়ে বাঁধিয়ে আলো লাগিয়ে সাজানো হচ্ছে। এই মাছরাঙারা আর ওখানে নেই। ঝিলের সংস্কার শেষ হলেও ওরা বোধ হয় আর আসবে না, কারণ ওদের থাকার জায়গাটাই সিমেন্ট দিয়ে বাঁধিয়ে নষ্ট করা হচ্ছে।
সায়নদীপ হালদার। পঞ্চম শ্রেণি, পাঠভবন |
|
|
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|