|
|
|
|
বেতনই হচ্ছে না সামসি কলেজে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
এক বছর আগে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন হলেও পরিচালন সমিতি গঠন হয়নি। সমিতির নির্বাচনে জেতেন তৃণমূলের চার শিক্ষক নেতা। পরিচালন সমিতির না গড়ে কলেজে প্রশাসন নিয়োগ করা হয়। গত মাসে মেয়াদ ফুরিয়েছে প্রশাসকের। পরিচালন সমিতির পাশাপাশি প্রশাসক না থাকায় বেতন বন্ধ হয়েছে। মাসের অর্ধেক গড়ালেও গত জুলাই মাসের বেতন না মেলায় কলেজের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা ছাড়াও আংশিক সময়ের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। মালদহের সামসি কলেজের এই ঘটনায় শিক্ষক মহলে আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পাশাপাশি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, “এক বছর আগে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন হলেও বাম ঘনিষ্ট ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং রেজিস্ট্রার জন্যই পরিচালন সমিতি তৈরি হয়নি। এতেই বেতন বন্ধের মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।” গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অপূর্ব চক্রবর্তী বলেন, “অনেকদিন আগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে পরিচালন সমিতি গঠন করতে বলা হয়েছিল। তার পরে ওখানে কী হয়েছে আমার জানা নেই।” তবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেই প্রসঙ্গে অপূর্ববাবু মন্তব্য করতে চাননি। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে পরিচালন সমিতির মেয়াদ শেষ হয়। এর পরেই নতুন পরিচালন সমিতির গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সমিতিতে ৪ জন শিক্ষক প্রতিনিধি থাকার কথা। গত বছর ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন হয়। তৃণমূলের চার জন জেতেন। তার পরেই সমিতির সভাপতি নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু তা হয়নি। সমিতির গঠনের প্রক্রিয়া বন্ধ রেখে গত বছরের ১২ অক্টোবর কলেজে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। তৃণমূল সমর্থিত জেলা অধ্যাপক মঞ্চের উপদেষ্টা আবদুল ওয়াহাব বলেন, “নির্বাচিত ৪ শিক্ষক প্রতিনিধির এক জনকে বাদ দিয়ে এক বাম ঘনিষ্ট শিক্ষককে ঢোকাতে নানা মহল থেকে চাপ শুরু হয়। চলে হুমকিও। শিক্ষকেরা নতিস্বীকার করেননি।” কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জানান, হঠাৎ করে এক শিক্ষকের বেতন চার মাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে বলা হয় ছুটি বেশি হওয়ায় ওই শিক্ষকের বেতন বন্ধ হয়েছে। সেই সময় টিচার্স কাউন্সিলের সম্পাদক তাপস বর্মনকে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই হেনস্থার করে বলে অভিযোগ ওঠে। তিনি পদত্যাগ করেন। তার পরে ওই কাউন্সিল গড়া হয়নি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রলয় ঘোষ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি নিয়ে ১৬ অগস্ট সভা ডাকা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|