|
|
|
|
টাকা দেবে পুরসভা |
দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় নয়া প্রয়াস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পথ-দুর্ঘটনার পরে আহতদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ছবিটা দেখতে সকলে অভ্যস্ত, তাতে পরিবর্তন চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, দুর্ঘটনায় কেউ আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে রইলেন, সেটা দেখে যে পথচারী তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন, তাঁকে ধরেই টানাটানি শুরু হল। চিকিৎসার খরচ চাওয়া থেকে শুরু করে আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া পর্যন্ত সবেতেই। এই ভয়েই অনেকে অন্যের বিপদ দেখে এগোতে চান না। এ বিষয়ে পুলিশ ও হাসপাতালকে আরও মানবিক হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
শুক্রবার পুলিশ হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, বহু হাসপাতালে টাকা জমা না-পড়া পর্যন্ত দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষের চিকিৎসাই শুরু হয় না। পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আত্মীয়-পরিজনেরা না পৌঁছনো পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির চিকিৎসার খরচ দেবে পুরসভাই। সমস্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মেয়র বলেন, “দয়া করে ক্যাশ কাউন্টারের দিকে তাকিয়ে চিকিৎসা থেকে হাত গুটিয়ে থাকবেন না। প্রাথমিক খরচের
দায়িত্ব আমাদের।”
পাশাপাশি, বাসের কমিশন প্রথা তুলে দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা চালু করতে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার। সমাধান সূত্র বার করার বিষয়ে ইতিমধ্যেই পরিবহণ মন্ত্রী সুব্রত বক্সীকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, “বাসে বাসে রেষারেষিতে বহু প্রাণ নষ্ট হয়। এর মূল কারণ কমিশন। সামান্য অর্থের জন্য মানুষের প্রাণ বলি যাচ্ছে। এমন নিয়ম চালু করতে হবে যাতে বাসে-বাসে রেষারেষি না থাকে, যানজট না হয়, সকলেই সুষ্ঠুভাবে চলাচল করতে পারে। প্রয়োজনে আইন আরও কঠোর করতে হবে।”
পুলিশ হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে পুলিশকর্মীদের চিকিৎসা নিখরচাতেই হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারীদের জন্য ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ দেবে পুরসভা। আর সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের চিকিৎসার জন্যও যাতে সুবিধাজনক প্যাকেজ চালু করা যায়, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। তিনি বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব ট্রমা কেয়ার সেন্টারটি চালু করার ব্যবস্থা হবে। টাকা জমা পড়েছে। সরঞ্জাম কেনা শুরু হয়েছে। তবে এটির রক্ষণাবেক্ষণ কারা করবে তা এখনও চূড়ান্ত নয়। মেয়র, কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং স্বাস্থ্য সচিব আলোচনার মাধ্যমে সেটা ঠিক করবেন। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপও হতে পারে।” |
|
|
|
|
|