|
|
|
|
ছোট আঙারিয়া মামলাতেও নতুন করে চার্জ গঠন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এক ‘গণহত্যা’ মামলায় গ্রেফতার হতে হয়েছে দলের দাপুটে নেতা সুশান্ত ঘোষকে। তাতেই কিন্তু বিড়ম্বনার শেষ হচ্ছে না সিপিএমের। পশ্চিম মেদিনীপুরেরই আরও একটি ‘গণহত্যা’ মামলার বিচারও নতুন করে শুরু হতে চলেছে। গড়বেতার ছোট আঙারিয়ায় ২০০১-এর ৪ জানুয়ারির ঘটনা সংক্রান্ত সেই মামলাতেও অভিযুক্ত সিপিএম নেতা-কর্মীরাই। আগামী ২৬ অগস্ট এই মামলায় জেলবন্দি এক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের দিন ধার্য করল মেদিনীপুর আদালত।
দীর্ঘ দিন ‘ফেরার’ থাকা গড়বেতার সিপিএম কর্মী দিল মহম্মদ রাজ্যে পালাবদলের পরে গত ১৫ মে অস্ত্র-আইনের একটি মামলায় ধরা পড়েন জেলা পুলিশের হাতে। ছোট আঙারিয়া মামলার সূত্রে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে সিবিআই। মামলার প্রধান অভিযোগকারী বক্তার মণ্ডল এবং দুই প্রত্যক্ষদর্শী রফিক মণ্ডল ও শেখ হাবিবুল নতুন করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেন। গত ১৫ জুলাই দিলের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। জেলবন্দি দিলকে শুক্রবার মেদিনীপুরের পঞ্চম অতিরিক্ত দায়রা বিচারক স্বপনকুমার মাইতির এজলাসে হাজির করা হয়। বিচারক ধৃতকে জেল হেফাজতে রাখারই নির্দেশ দিয়ে আগামী ২৬ তারিখ চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেন।
সিবিআইয়ের যে চার্জশিটের ভিত্তিতে এই মামলায় সুশান্তবাবুর ঘনিষ্ঠ তপন ঘোষ, সুকুর আলিদের মতো সিপিএম নেতাদের জেল হেফাজতে রেখে এক দফা শুনানি চলেছিল, সহ-অভিযুক্ত দিলের ক্ষেত্রে সেই পুরনো চার্জশিটের ভিত্তিতেই বিচার শুরু হতে চলেছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে তপন-সুকুরের মতো অভিযুক্তেরা এর আগে খালাস পেয়ে গেলেও ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতি’তে সাক্ষ্য-প্রমাণের সমস্যা হবে না বলে আশাবাদী কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সিবিআইয়ের তরফে ইতিপূর্বেই দাবি করা হয়েছে, ঘটনার পুনর্তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। শুধু দিলই নয়, এক দফা খালাস পেয়ে যাওয়া অভিযুক্তদেরও ফের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে বলে মনে করছেন জেলা আদালতের আইনজীবীদের একাংশও।
এই মামলায় আরও ৪ অভিযুক্তসিপিএম কর্মী মোক্তার শেখ, আজিজুল মিদ্যা, আবদুল খান ও প্রশান্ত পাল এক দশক ধরেই ‘ফেরার’। সিবিআই সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই ৪ জনের খোঁজেও তল্লাশি চলছে। প্রশান্ত পালকে অবশ্য ২০০২-এর ২৫ সেপ্টেম্বর সিবিআইয়ের একটি দল সানমুড়া গ্রামের বাড়ি থেকে এক বার পাকড়াও করেছিল। কিন্তু সিপিএমের লোকজনই তাঁকে ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। সে সময়ে গড়বেতা থানা বন্দি-ছিনতাই সংক্রান্ত অভিযোগ পর্যন্ত নিতে চায়নি বলে আদালতে জানায় সিবিআই। এই প্রশান্তই ২০০১-এর ৪ জানুয়ারি ছোট আঙারিয়ায় তৃণমূল-কর্মী বক্তার মণ্ডলের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, গুলিবর্ষণে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যে ঘটনায় তাদের অন্তত ৫ সমর্থক নিহত হন বলে তৃণমূল শিবিরের দাবি। যদিও আজ পর্যন্ত কোনও দেহের খোঁজ মেলেনি। কিন্তু সিবিআইয়ের তরফে আদালতে পেশ করা ব্যালাস্টিক ও রক্ত-নমুনার রিপোর্টে গুলিবর্ষণ, রক্তপাতের প্রমাণ মিলেছে। |
|
|
|
|
|