|
|
|
|
জ্যোতির্ময়-হত্যায় গ্রেফতার রাজনের প্রাক্তন সঙ্গী |
সুনন্দ ঘোষ • কলকাতা |
জ্যোতির্ময় দে হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মূল সন্দেহভাজন হিসেবে যার নাম উঠে এসেছে, সেই সন্তোষ শেট্টিকে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ। সন্তোষ মাফিয়া ডন ছোটা রাজনের একদা ঘনিষ্ঠ শাগরেদ।
এই হত্যাকাণ্ডে ছোটা রাজনের হাত আছে বলে মুম্বই পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছিল। তবে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে যে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পরে সন্তোষের নাম উঠে আসে বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর। গত ১১ জুন মুম্বইয়ের হিরানন্দানি গার্ডেনের কাছে মোটরবাইক-আরোহী চার দুষ্কৃতী গুলি করে হত্যা করে মুম্বইয়ের মিড ডে পত্রিকার সাংবাদিক জ্যোতির্ময়কে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় সন্তোষ শেট্টিকে। যদিও কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রী তালিকায় সন্তোষের নাম ছিল নিকোলাস মদন শর্মা। পাসপোর্টের বদলে ‘ইমারজেন্সি সার্টিফিকেট’ দেখিয়ে তাকে ভারতে ঢোকানো হয়েছে। মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের বেশ কয়েক জন অফিসার সন্তোষকে ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতায় নিয়ে আসেন। সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর সুধীর ডালভি। |
ধৃত সন্তোষ শেট্টি |
জ্যোতির্ময় দে |
|
কলকাতায় সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে ব্যাঙ্ককের বিমান নামে। আন্তর্জাতিক টার্মিনাল থেকে সন্তোষকে পাহারা দিয়ে বের করে আনেন সিআইএসএফ অফিসারেরা। তার মুখ ঢাকা ছিল। হাতেও হাতকড়া পরানো ছিল। সেই হাতকড়ার উপরেও কাপড়-ঢাকা ছিল।
এ ভাবে এক বিমানযাত্রীকে মুখ ঢেকে, হাতকড়া পরিয়ে বিমানবন্দরের ভিতর দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময়ে হতচকিত হয়ে যান যাত্রীরা। সিআইএসএফ-এর গাড়িতে করেই সন্তোষকে নিয়ে যাওয়া হয় অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে। সেখানে প্রায় দু’ঘণ্টা সিআইএসএফ-এর উচ্চপদস্থ কর্তার দফতরে বসিয়ে রাখা হয় তাকে। রাত ন’টার একটি উড়ানে তাকে মুম্বই নিয়ে যায় পুলিশ।
সন্তোষের পুরো নাম সন্তোষ পাণ্ডুরাম শেট্টি। ৪৪ বছর বয়স। ২০০৪ সাল পর্যন্ত ছোটা রাজনের সঙ্গেই সে কাজ করত। তার পরে সে নিজস্ব দল তৈরি করে। তার বিরুদ্ধে খুন, মাদক চোরাচালান, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়ের মতো প্রায় ১২টি অপরাধের অভিযোগ ইতিমধ্যেই রয়েছে। তাকে শুক্রবার মুম্বইয়ের আদালতে তোলা হলে ১৭ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|