|
|
|
|
অপহৃতাকে উদ্ধার করুন, সুব্রতকে বলল কোর্ট |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
অপহৃত হওয়ার সময় সঙ্গীতার বয়স ছিল বছর চারেক। বারাসতের বাসিন্দা কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে সঙ্গীতা নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে অপহৃত হয় ১৯৯০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ। এখন মেয়েটির বয়স হবে কমবেশি ২৪ বছর। পুলিশ এখনও তাকে খুঁজে বার করতে পরেনি।
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার বলেছে, প্রায় ২১ বছর আগে মেয়েটি যখন অপহৃত হয়, তখন বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি লিখেছিলেন। সুব্রতবাবু এখন নিজেই রাজ্যের মন্ত্রী। সঙ্গীতাকে যাতে উদ্ধার করা যায়, সেই ব্যাপারে তাঁকে উদ্যোগী হতে বলেছে হাইকোর্ট।
সঙ্গীতা সম্পর্কে হাইকোর্টের মত, এখন মেয়েটির বয়স ২৪ বছর। পুলিশের পক্ষে তাকে খুঁজে বার করা কঠিন। যখন সঙ্গীতা অপহৃত হয়েছিল, সেই সময় তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কিন্তু উদ্ধার করা যায়নি। তবে সেই মামলা নতুন করে শুরু করার জন্য হাইকোর্টের অনুমতি নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল ও বিচারপতি অসীম রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এই ব্যাপারে পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য মেয়েটির বাবা-মাকে অনুরোধ করে হাইকোর্ট।
একা সঙ্গীতা নয়। সম্প্রতি উত্তর হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকা থেকে ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। আজ পর্যন্ত তাদেরও উদ্ধার করতে পরেনি পুলিশ। মেয়ে পাচার রোধে এবং পাচার হয়ে যাওয়া মেয়েদের উদ্ধারের ক্ষেত্রে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ জানিয়ে এবং সঙ্গীতা আর গোলাবাড়ির নিখোঁজ ১৪টি মেয়েকে খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থের মামলা করেন সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী।
শুক্রবার মামলার শুনানির পরে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, মেয়ে পাচার বা মেয়ে উদ্ধার এবং বিশেষ করে গোলাবাড়ির নিখোঁজ মেয়েদের ব্যাপারে ৯ সেপ্টেম্বর রাজ্য পুলিশকে সবিস্তার রিপোর্ট পেশ করতে হবে হাইকোটের্র্। বেঞ্চের মন্তব্য, মেয়ে পাচার রোধ এবং পাচার হওয়া মেয়েদের উদ্ধারের জন্য রাজ্য সরকারের বিশেষ সেল যথেষ্ট ইতিবাচক কাজ করছে। এই কাজে পুলিশের উপরে অনাস্থা প্রকাশ করার মতো কিছু দেখছে না হাইকোর্ট। রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল গোলাবাড়ির নাবালিকাদের খুঁজে বার করার জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করেছে। সেই দল ১৫ দিন অন্তর ডিজি-কে রিপোর্ট দিচ্ছে।
|
হাইকোর্টে আগুন |
কলকাতা হাইকোর্টের একতলার একটি ঘরে শুক্রবার রাতে আগুন লাগে। দমকল সূত্রের খবর, রাত সওয়া ৭টা নাগাদ হাইকোর্টের ‘ই’ গেটের কাছে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন কয়েক জন কর্মী। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পৌঁছে যান পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরাও। দমকলের অনুমান, ভূগর্ভস্থ কেব্লে শর্ট সার্কিটের ফলেই আগুন লেগেছিল। |
|
|
|
|
|