|
|
|
|
নাগরিক নিরাপত্তা মজবুত করতে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
শহরের বিভিন্ন বহুতল আবাসন, শপিং মল ও বাণিজ্যিক ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজতে চায় রাজ্য সরকার। কী ভাবে তা করা হবে সে ব্যাপারে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বিভিন্ন আবাসন, শপিং মল এবং বাণিজ্যিক ভবনের কর্তৃপক্ষের ডেকে কথা বলতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে কলকাতার পুলিশ কমিশনারও উপস্থিত থাকবেন।
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে শহরের নিরাপত্তায় আজ, শনিবার থেকেই ব্যাপক ব্যবস্থা করছে পুলিশ। যুগ্ম কমিশনার (সদর) জাভেদ শামিম জানান, বিবাদী বাগ ও ময়দান এলাকায় ২০টি বাঙ্কার হচ্ছে। সেগুলিতে ইনস্যাসধারী রক্ষীরা থাকবেন। |
|
বৃষ্টির শহরে মাথা বাঁচিয়ে জাতীয় পতাকা ফেরি। নিজস্ব চিত্র |
শুক্রবার পুলিশের এক অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, “কলকাতা পুলিশের যা কর্মীসংখ্যা তাতে আলাদা ভাবে সব আবাসন, শপিং মল ও বাণিজ্যিক ভবনের নিরাপত্তা দেওয়া কঠিন। এ জন্য নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে।” বিভিন্ন বহুতলের বাসিন্দাদের অজ্ঞাতপরিচয় পরিচারক নিয়োগ করা নিয়ে সতর্ক হতে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার শহরের নিরাপত্তা নিয়ে লালবাজারে বৈঠকে বসেন পুলিশকর্তারা। পরে মহাকরণ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন পুলিশ কমিশনার রঞ্জিতকুমার পচনন্দা। সোমবার, ১৫ অগস্ট মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পতাকা উত্তোলন করবেন। এর পর নেতাজি মূর্তির পাদদেশে মালা দেবেন তিনি। স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে রাজভবনেও। গাঁধী মূর্তিতে মালা দেবেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। সে কারণে নেতাজি মূর্তি ও গাঁধী মূর্তি সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি, শিয়ালদহ, মেট্রো স্টেশন এবং ফেরিঘাটগুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান। এ ছাড়াও বিশেষ পাহারা থাকছে হাওড়া এবং বিদ্যাসাগর সেতুতে।
এ ছাড়াও, শহরের ২৭টি ঢোকা ও বেরনোর মুখে যে পাহারা থাকে, তা আরও বাড়ানো হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। মোতায়েন করা হচ্ছে ১২টি কুইক রিঅ্যাকশন টিম এবং ১০টি অ্যাম্বুল্যান্সও। |
|
|
|
|
|