বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ধস নেমেছ বারাবনির গৌরান্ডিতে ভাটাস কোলিয়ারি সংলগ্ন অঞ্চলে। একটি বাড়ির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধসে গিয়েছে কাঁচা রাস্তা। তবে কেউ হতাহত হননি।
ধসের পরে শুক্রবারই ইসিএলের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে যান। বিপজ্জনক অংশগুলি ঘেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আসানসোলের মহকুমাশাসক জানান, ইসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা ধস কবলিত অংশে মাটি ভরাট করার ব্যবস্থা করছেন। |
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভোরে মাটি ফাটার আওয়াজ পেয়েই তাঁরা বুঝেছিলেন, এলাকায় ধস নেমেছে। ঘটনাস্থলের খুব কাছেই বাড়ি দিলীপ দাসের। মাটির গাঁথনি ও অ্যাসবেসটসের ছাদ দেওয়া বাড়িটির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দিলীপবাবুর কথায়, “মাঝরাতে ঘরটা হঠাৎ দুলে উঠল। কিছু পরেই দেখলাম, ঘরের পিছনের দিকে একটা কোণ ধসে গিয়েছে।” ঘর ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় তাঁরা বাইরে বেরিয়ে পড়েন।
দিনের আলো ফোটার পরেই দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মাটি বসে গিয়েছে। মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে পড়েছে ফাটল। প্রায় ১২ ফুট গভীর ও ৮০ ফুট ব্যাসের গর্ত তৈরি হয়েছে। হেলে পড়েছে কয়েকটি গাছ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কিত মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছুটা দূরে ইসিএলের সালানপুর এরিয়ার ভাটাস কোলিয়ারি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন খনির এজেন্ট এ কে সেনগুপ্ত। তিনি জানান, বিপজ্জনক অঞ্চলগুলি ঘিরে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে রয়েছে খনির একাধিক আবাসন। তবে সেগুলির কোনও ক্ষতি হয়নি। |
এই আচমকা ধসের কারণ হিসেবে ইসিএলের আধিকারিকেরা অবৈধ কয়লা খাদানগুলিকেই দায়ী করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ওই অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গায় কয়েকশো অবৈধ কয়লা খাদান আছে। যার ফলে মাটির তলা ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে যাওয়াতেই ধস নেমেছে। আসানসোলের মহকুমাশাসক সন্দীপ দত্ত জানান, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলিতে মাটি ভরাটের জন্য ইসিএলকে বলা হয়েছে। কিন্তু খনি আধিকারিকরা জানান, মাটি ভিজে কাদা হয়ে যাওয়ায় ড্রোজারের সাহায্যে এখনই মাটি ভরাট করা সম্ভব নয়। |