|
|
|
|
আত্মহত্যার চেষ্টা অভিযুক্তের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তুফানগঞ্জ |
ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অপবাদ দেওয়ায় কলেজের ছাত্র সংসদের সম্পাদক আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে তুফানগঞ্জ কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ওই নেতা গোবিন্দ অধিকারী নিজের বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তাঁর বাড়ি তুফানগঞ্জ থানার ধলপলে। কলেজ এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ছাত্রনেতাকে পরিবারের লোকেরা একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করান। রবিবারেও নার্সিংহোমে তাঁর চিকিৎসা চলছে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে তাঁর পকেটে ১০ টি ঘুমের ট্যাবলেটের একটি খালি মোড়ক পাওয়া গিয়েছে। একসঙ্গে ওই ট্যাবলেটগুলি খেয়েই গোবিন্দ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে তাঁদের ধারণা। তা ছাড়া গোবিন্দর পকেট থেকে একটি নোটও পাওয়া গিয়েছে। গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “বিষয়টি জানা নেই। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করা হলে নিশ্চয়ই তা খতিয়ে দেখা হবে।” কলেজ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দখলে থাকা তুফানগঞ্জ কলেজের ছাত্র সংসদের সম্পাদক গোবিন্দর বিরুদ্ধে শুক্রবার ওই কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। ওই ছাত্র নেতা তাকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ের হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগে জানানো হয়েছে। ছাত্রীর পরিবারের তরফে কলেজ পরিচালন সমিতির কাছেও অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশও মামলা রুজু করে তদন্তে নামে। তা জানাজানি হতেই তৃণমূলের নেতা কর্মীরা অস্বস্তিতে পড়ে। এর পরেই শনিবার রাতে অভিযুক্ত ছাত্র নেতার আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা নিয়ে হইচই শুরু হয়। তুফানগঞ্জ কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি জিতেন্দ্র চন্দ্র সাহা বলেন, “ঘুমের বাড়ি খেয়ে ছাত্র সংসদের সম্পাদকের আত্মহত্যার চেষ্টার কথা জেনে এ দিন নার্সিংহোমে গিয়েছিলাম। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গোবিন্দ বিপদ মুক্ত। কেন এরকম ঘটল তা বুঝতে পারছি না।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তুফানগঞ্জ কলেজ ইউনিটের সম্পাদক বাপ্পা আহমেদ জানান, ওই নোটে কয়েকজন নেতার নাম রয়েছে বলে শুনেছি। ছাত্র সংসদের সম্পাদক গোবিন্দর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা দরকার বলে তিনি মনে করেন। কোচবিহারে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্র নেতার জামাইবাবু মণি বর্মন জানান, গোবিন্দ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে। সে কারণেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। মণিবাবুর দাবি, “অন্তত ১০ ঘুমের বাড়ি খেয়েছে গোবিন্দ। ওর মতো ছেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করবে ভাবিনি। দলের কিছু নেতার চক্রান্তে ওর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তাতেই ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। ওর পকেটে পাওয়া তিন পাতার একটি নোটও পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। আমরা যথাযথ তদন্ত চাই।” |
|
|
|
|
|