হাড়গোড় উদ্ধার চলছেই। রবিবার শালবনির শালগেরিয়া থেকে মাটি খুঁড়ে একটি মাথার খুলি ও বেশ কিছু হাড়গোড়ের হদিস মিলেছে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা জনৈক গ্রামবাসীর থেকে জানতে পারেন, বছর খানেক আগে এখানে কারও দেহ পোঁতা হয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। শুরু হয় মাটি খোঁড়া। হাড়গোড় ছাড়াও পাওয়া গিয়েছে কম্বল, সোয়েটার। |
পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” শালবনিতে জিন্দল গোষ্ঠীর প্রস্তাবিত ইস্পাত কারখানা সংলগ্ন এলাকা শালগেড়িয়া। আগে কারখানা সংলগ্ন এলাকা থেকে অবৈধ বন্দুক উদ্ধার হয়েছে। এ বার মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল হাড়গোড়। কিছু দিন আগেই শালবনির সাতেরবাঁধ থেকে হাড়গোড় উদ্ধার হয়।
রাজ্যে পালাবদলের পর প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গড়বেতার সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের দেশের বাড়ি বেনাচাপড়ার দাসেরবাঁধ থেকেও হাড়গোড় উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার আনন্দপুরের মোহনপুর এলাকার খালপাড়ে মাটি খুঁড়ে কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয়। ওই দেহাবশেষ বছর দেড়েক আগে গোদাপিয়াশাল থেকে ‘অপহৃত’ তাঁর দাদা যজ্ঞেশ্বরের বলে দাবি করেন ভাগবত মাহাতো। ইতিমধ্যে ২৬ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর নামে তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সব মিলিয়ে অস্বস্তি বাড়ছে সিপিএমের। |