টুকরো খবর
শহর থেকে প্লাস্টিক বর্জন করতে অভিযানে নামল উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভা। রবিবার পুরসভার জনস্বাস্থ্য ও পরিষেবা বিভাগের চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল দিলীপ যাদবের উদ্যোগে কাউন্সিলর এবং আধিকারিক এবং পুলিশ-অফিসারেরা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন। সেখানকার দোকান থেকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি তরফে প্রচার চলে আসছে। ২০ মাইক্রনের কম পুরু প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করা আইনবিরুদ্ধ। কিন্তু, প্রচারই সার। বাস্তবে দোকানে-দোকানে সরু প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার আটকানো যায়নি। ওই ক্যারিব্যাগ ব্যবহারের ফলে শুধু যে পরিবেশ দূষিত হয় তা-ই নয়, খাদ্যবস্তু রাখা হলে তাতেও বিরূপ প্রভাব পড়ে। তা ছাড়া, নর্দমায় প্লাস্টিক আটকে নিকাশির ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি করে। কিন্তু ক্রেতারাও নিজেদের সুবিধার কথা ভেবে দোকানিদের কাছে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ চান। দোকানিরাও তা দিয়ে থাকেন। পুরসভা সূত্রের খবর, এ ধরনের ক্যারিব্যাগ বন্ধে সম্প্রতি উঠেপড়ে লেগেছে রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রক। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধ করতে ব্যবস্থা নিতে পারে। পর্ষদের মনোভাব বুঝেই উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভাও বিষয়টি নিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে। এ দিন কাঠালবাগান বাজার, সখের বাজার এবং ভদ্রকালিতে জিটি রোডের ধারের বিভিন্ন দোকানে হানা দেন কাউন্সিলর ও পুলিশের একটি দল। বেশ কয়েক কিলোগ্রাম ক্যারিব্যাগ বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। বেশ কয়েকটি দোকানকে জরিমানাও করা হয় নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে সরু প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহারের জন্য। দিলীপবাবু বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শহর থেকে প্লাস্টিক দূর করতে চেষ্টা করব। সরু প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার বন্ধে অভিযান চলবে।”

শুক্র ও শনিবার টানা দু’দিন হাতির তাণ্ডব চলল বড়জোড়া ও বেলিয়াতোড় রেঞ্জে এলাকায়। ওই দুই রেঞ্জের শীতলা ও তালবেড়িয়া গ্রামের স্কুলে মিড-ডে মিলের রান্নাঘর ভেঙে চাল বের করে খেল দুই দাঁতাল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরে এই এলাকায় হাতি দু’টি হামলা চালালেও বনকর্মীদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। হাতি তাড়ানোর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বড়জোড়া রেঞ্জের আধিকারিক সৌমেন মণ্ডল বলেন, “হাতি দু’টি আমাদের জঙ্গলের রেসিডেন্ট দাঁতাল। খবর পেয়ে তাদের তাড়াবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু উল্টে তারা বনকর্মীদের তাড়া করছে। আমরা গ্রামবাসীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি।”

সাড়ে তিন দশক বাদে কোচবিহার বন ও বন্যপ্রাণ বিভাগের সদর দফতরে ইউনিট কমিটি গড়ল ডানপন্থী বনকর্মী সংগঠন। রবিবার কোচবিহারের বন্যপ্রাণ-৩ বিভাগের নিলাম ঘরে সম্মেলনের মাধ্যমে ইউনিট কমিটি গঠন করেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট সার্ভিস এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের সদস্যরা। কমিটির সভাপতি পদে হিমাদ্রী শেখর দত্ত এবং সম্পাদক পদে দীপক দত্ত নির্বাচিত হন। বন বিভাগের ইউনিট কমিটিতে স্বপন সেন সভাপতি এবং শান্তিগোপাল ঘোষ সম্পাদক পদে মনোনীত হন।

রসমতী পর্যটন কেন্দ্রে গণ্ডারের আবাসস্থলের পরিখা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। রবিবার বনমন্ত্রী রসমতী ঘুরে বলেন, “পরিখার কাজ নিম্নমানের হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। এই ব্যাপারে তদন্ত করা হবে। তদন্তে ঠিকাদার-সহ কারও গাফিলতি প্রমাণিত হবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বনসৃজন প্রকল্পে ফুলবাড়ি-২ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে দু’হাজার চারা গাছ রোপণ করা হল। সংগঠনের নেতা দ্বিজেন রায় জানান, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের বরাদ্দ কোটায় চারাগাছ পাওয়া গিয়েছে।
Previous Story Next Item


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.