|
|
|
|
ডুবতে বসা জাহাজের তেল মিশছে সমুদ্রে |
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
ডুবন্ত জাহাজ থেকে তেল সমুদ্রের জলে মেশায় ফের পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠল মুম্বইয়ের সমুদ্র উপকূলে। আজ উপকুলরক্ষী বাহিনীর তরফ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পানামার জাহাজ এম ভি রাক থেকে ঘণ্টায় প্রায় দেড় থেকে দু’ টন করে তেল মিশছে সমুদ্রে। শনিবার রাত থেকে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে সমুদ্রে তেল মেশা শুরু হয়েছে। জাহাজ ঘিরে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭ নটিক্যাল মাইল জুড়ে এই তেল ছড়িয়ে পড়েছে বলে আশঙ্কা। রাজ্য সরকারের তরফে মৎস্যজীবীদের ওই এলাকায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে। |
|
মুম্বইয়ের জুহু চৌপট্টি সমুদ্রতটে ছড়িয়ে আছে তেল। হাতে করে সেই তেল নিয়ে দেখাচ্ছেন এক জন। -এএফপি |
তবে সমুদ্রের জলে এই তেল মেশা শুরু হওয়ার পরই উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফ থেকে ‘পযার্বরণ সুরক্ষা-২/২০১১’ অভিযান চালু করা হয়েছে। ‘সমুদ্র পাহাড়ি’ ও ‘আইসিজিএস সংকল্প’ নামে দুটি সেনা জাহাজ বিশেষ পদ্ধতিতে সমুদ্রে ভাসমান তেলকে নষ্ট করার কাজ চালাচ্ছে। এই ঘটনায় পরিবেশবিদরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। তাঁরা জানিয়েছেন, সাধারণত ছড়িয়ে পড়া তেলের দুই তৃতীয়াংশ বাতাসে ও জলে মিশে যায়। কিন্তু বাকি এক তৃতীয়াংশ অবিকৃত অবস্থায় সমুদ্রে থেকে যায়, যা উপকূল ও সমুদ্রের দূষণ করে থাকে। এর ফলে সমুদ্রের অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদ মারা যায়। সূত্রের খবর পানামার এই জাহাজটি ৬০ হাজার টন কয়লা, ২৯০ টন জ্বালানি তেল ও ৫০ টন ডিজেল ইন্দেনেশিয়া থেকে গুজরাতে নিয়ে যাচ্ছিল। মুম্বই উপকূলে বারবার এই রকম দুর্ঘটনা ঘটায় মুম্বই মৎস্যজীবীদের সংগঠন উপকূলে রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলার অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করার হুমকি দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এর ফলে সমুদ্র দূষিত হয়ে যাচ্ছে। ফলে তাদের রুজি বন্ধ হওয়ার জোগাড়। তাই তারা ক্ষতিপূরণেরও দাবি তুলেছে। উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পর্যবেক্ষণ চলছে। তবে এখনও আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু হয়নি। |
|
|
|
|
|