|
|
|
|
ব্যবসায়ীকে খুনের চেষ্টা, ধৃত তৃণমূল নেতার ভাই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
জোর করে সম্পত্তি লিখিয়ে নিতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে এবং মারধর করে এক ব্যবসায়ীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল আরামবাগের এক তৃণমূল নেতার তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের মধ্যে এক জনকে ধরেছে পুলিশ। গোঘাটের কুলকি গ্রামের বাসিন্দা, সমর কোলে নামে ওই ব্যবসায়ীকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে আরামবাগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ি-সংলগ্ন দোকান থেকে সমরবাবুকে উদ্ধার করেন স্থানীয় কয়েক জন যুবক। দোকানটি গৌতমবাবুদের পরিবারের। গ্রেফতার করা হয় তাঁর ভাই সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়কে। পুলিশ জানায়, বাকি অভিযুক্তেরা পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সমরবাবু ধান ব্যবসায়ী। বছর দুয়েক আগে তিনি সুবীরবাবুর কাছ থেকে আরামবাগে চারটি দোকানঘর এবং একটি ফ্ল্যাট কেনেন বলে জানিয়েছেন। প্রায় সাত মাস ধরে সেই সব দোকানঘর ফেরত পেতে চাইছেন সুবীরবাবু। তা দিতে রাজি নন সমরবাবু। অভিযোগ, ফেরত পাওয়ার জন্য মাস পাঁচেক আগে দোকানঘরগুলিতে সুবীরবাবু তালা লাগিয়ে দেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে দোকান খোলা হয়।
সমরবাবুর দাবি, ২৪ লক্ষ টাকায় তিনি দোকানঘরগুলি এবং ফ্ল্যাট কিনেছেন। তাঁর নামে ওই সম্পত্তি প্রশাসনের কাছে নথিভুক্তও হয়েছে। তিনি বলেন, “শুক্রবার সুবীরবাবুর ভাই সুজিতবাবু আলোচনার জন্য আমাকে তাঁদের দোকানে ডেকে পাঠান। ওই দোকানের পিছনের একটি ঘরে যেতেই ছিটকিনি আটকে সুবীরবাবু, তাঁর ছোট ভাই অভিজিৎ, তাঁদের মাসতুতো ভাই শান্তনু বটব্যাল এবং এক অচেনা লোক আমাকে মারার চেষ্টা করে। কিছু কাগজপত্রে সই করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে সুজিতবাবু আসেন। তিনি ভাইদের নিরস্ত করেন।” সুজিতবাবু ছাড়া বাকি চার জনের নামে ওই অভিযোগ দায়ের করেন সমরবাবু। পুলিশ জানায়, বাকি অভিযুক্তেরা পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
ভাইদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গৌতমবাবু। তিনি বলেন, “আলোচনায় বসা ছাড়া কোনও ঘটনাই ঘটেনি। সমরবাবু আমার ভাইদের সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছেন। আমার ভাইরা তা পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিল। সমরবাবু চক্রান্ত করে মিথ্যা অভিযোগে আমাকে ফাঁসাতে চাইছে।” |
|
|
|
|
|