টুকরো খবর

অমিতাভকে নিয়ে মন্তব্য, লালুকে বিঁধল জে ডি ইউ
অমিতাভ বচ্চন সম্পর্কে লালুর মন্তব্য নিয়ে এ বার আসরে নেমে পড়ল জেডিইউ। জেডিইউ নেতৃত্বের বক্তব্য, অমিতাভ বিহারে নীতীশের উন্নয়নমুখী কাজকর্ম দেখেই ভাল কিছু কথা বলে গিয়েছেন। আর সেটাই লালুর গাত্রদাহের কারণ। তাঁর এই আচরণ নীতীশ কুমারের প্রতি ঈর্ষাবশতই। সেই কারণেই লালু প্রসাদ বিশিষ্ট শিল্পী অমিতাভ বচ্চন সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। আরজেডির মহাধর্নায় কাল লালু বলেছিলেন, “অমিতাভ যা বলেছেন, তা নিয়ে আমি তর্ক করছি না। কিন্তু বিহারের কোনও উন্নয়ন এখন চোখে দেখা যাচ্ছে না। তা ছাড়া, অমিতাভ বচ্চন কোনও কালেই আমার পছন্দের শিল্পী ছিলেন না।” অমিতাভ সম্পর্কে লালুর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ জেডিইউ নেতা সঞ্জয় সিংহ বলেন, “শীঘ্রই এমন দিন আসবে, যে দিন লালুজি আর কাউকেই ভাল বলতে পারবেন না। কারণ, অমিতাভ বচ্চনের মতো সকলেই বিহারের উন্নয়নের জন্য নীতীশ কুমারের প্রশংসা করেন। নীতীশজিকে লালুজি হিংসে করেন বলেই আসলে এমন মন্তব্য করেছেন।”

ইন্দিরা গাঁধী বিমানবন্দর পাঁচ ঘণ্টা বিদুৎহীন
দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তিন নম্বর টার্মিনালে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। গত কাল রাত দেড়টার সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। আসে ভোর সাড়ে ছ’টার পর। ৪০টি উড়ান ছাড়তে দেরি হয়ে যায়। যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই ‘চেক-ইন’ প্রক্রিয়া চালাতে হয়।

স্ত্রীর কাটা মুণ্ড নিয়ে থানায়
থানায় ডিউটি অফিসারের ভির্মি খাওয়ার অবস্থা। কারণ এক মহিলার কাটা মুণ্ড নিয়ে থানায় হাজির স্বয়ং মুণ্ডচ্ছেদকারী। কাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ডিব্রুগড়ে বরবরুয়া এলাকায় সেসা মাওদামণি গ্রামে। ফলিত পাইক নামে মধ্য তিরিশের ওই ব্যক্তি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রী অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। কাল রাতে গোপন প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রী পিংকি ওরফে রেখা দেবীকে (৩০) আপত্তিকর অবস্থায় দেখে মাথায় আগুন জ্বলে যায় তাঁর। তার জেরেই স্ত্রীকে ওই ‘শাস্তি’ দিয়েছেন তিনি। পুলিশ জানায়, পিংকির সেই গোপন প্রেমিক অবশ্য কোনওক্রমে পালিয়ে যায়। এরপর স্ত্রীর কাটা মুণ্ড নিয়ে বরবরুয়া থানায় আত্মসমর্পণ করেন ফলিত। পাইক দম্পতির চারটি সন্তান আছে। পুলিশ পিঙ্কির দেহ ময়না তদন্তের জন্য অসম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

হিমন্ত-আসু কাজিয়া
ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের পোশাক পরে আন্দোলন করার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছেন অসমের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। কিন্তু অল অসম স্টুডেন্ট্স ইউনিয়ন (আসু) সাফ জানিয়েছে, এই ফতোয়া ছাত্র আন্দোলনের গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী। এক সময়ের আসু নেতা হিমন্তের ঘোষণা ছিল, পঠন-পাঠনের সময় যদি কোনও ছাত্রছাত্রী স্কুলের পোশাকে রাস্তায় আন্দোলন চালায়, তবে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। এবং তার দায় বর্তাবে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের উপরে। কিন্তু মন্ত্রীর এই নির্দেশ মানতে নারাজ আসু। আসুর বক্তব্য, গণ আন্দোলন ও ছাত্রছাত্রীদের অধিকারে হস্তক্ষেপ না করে হিমন্ত বরং এমন পদক্ষেপ নিন, যাতে ছাত্রছাত্রীদের কখনও আন্দোলন করতে না হয়। আসুর শিক্ষা সচিব মণিমাধব মহন্ত বলেন, “স্বৈরাচারী শিক্ষামন্ত্রী গণতন্ত্র বিনষ্ট করে জরুরি অবস্থা জারি করতে চাইছেন।”

পরেশকে পাল্টা তোপ শান্তিকামী রাজখোয়াদের
শান্তি আলোচনা ঘিরে আলফার অন্দরমহলের অশান্তি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পেশ করা রাজখোয়াদের ১২ দফা দাবি সনদকে ‘আপসনামা’ বলে বক্রোক্তি করেছেন আলফা সেনাধ্যক্ষ পরেশ বরুয়া। এরপরেই, আলোচনাপন্থীদের তরফে কমল কছারি কড়া ভাষায় বিবৃতি পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘পরেশ বরুয়া মানেই দল নয়’। কমল কছারি জানিয়েছেন, পরেশের কথায় সংবিধান চলবে না। দল, সংগঠন, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে অসমের মানুষ আলোচনা চান। সেই পথেই চলছে আলফা। পরেশ ও তাঁর প্রচার সচিব অরুণোদয় দহোতিয়াকে, ‘দেশ ও জাতির সঙ্গে সম্পর্কহীন’ বলে উল্লেখ করেছেন রাজখোয়াপন্থীরা। পরেশকে সরাসরি আক্রমণ করে বলা হয়েছে, “মান্ধাতার আমলের মনোভাব নিয়ে তিনি আবোল-তাবোল বকতে পারেন, তবে, কারও কাছেই সেই কথার কোনও গুরুত্ব নেই।” এ দিকে, আসন্ন স্বাধীনতা দিবসে আলফার পরেশপন্থীরা গুয়াহাটি-সহ অসমের নানা এলাকায় সন্ত্রাস চালাতে পারে বলে পুলিশের আশঙ্কা। তার মধ্যেই আজ সকাল থেকে দিসপুরে সচিবালয়ের সামনে, অনেকটা আলফার আদলে, শ’য়ে শ’য়ে পতাকা উড়তে দেখে উত্তেজনা ছড়ায়। হাজির হয় পুলিশ। তবে, কামরূপের এসপি দীপক চৌধুরি জানান, পতাকাগুলির চিহ্নের সঙ্গে আলফার নিশানের মিল থাকলেও সেগুলি আসলে, সারা অসম পিছিয়ে পড়া জনজাতি সংগঠনের পতাকা।

রমনের কপ্টারের জরুরি অবতরণ
খারাপ আবহাওয়ার জন্য রবিবার রায়গড়ে জরুরি অবতরণ করল ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহের হেলিকপ্টার। এ দিন তিনি কপ্টারে করে রায়পুর থেকে যশপুর জেলায় যাচ্ছিলেন বিজেপি-র অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই প্রবল বৃষ্টির কারণে তাঁর কপ্টারটিকে রায়গড়ে জিন্দলদের বিমান ক্ষেত্রে অবতরণ করাতে হয়। এক ঘণ্টা আটকে থাকার পর অনুষ্ঠান বাতিল করে রায়পুরে ফিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী।

ডিমা হাসাওয়ে ফের উদ্ধার তিনটি কঙ্কাল
আরও তিন অপহৃতের কঙ্কাল উদ্ধার করল ডিমা হাসাও জেলার পুলিশ। কাল রাতে খেলমা জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত পিলুংডিং গ্রামের গভীর জঙ্গলে পাওয়া গেছে পাইয়েল সৌমলাল খেলমা (২৮), জেন তুংলিয়ান ইংতি (১৫) এবং জিউচুংলিয়া খেলমার কঙ্কাল। এঁদের ২০০৭ সালের ৫ অক্টোবর অপহরণ করা হয়েছিল। প্রাক্তন জঙ্গি-সহযোগী হ্যান্ডসাম ডিমাসা ও বাপি দত্তকে জেরা করে এ নিয়ে মোট পাঁচ জনের কঙ্কাল উদ্ধার করা হল। এর আগে মেলে মাইবাঙের ব্যবসায়ী নন্দু দাস ও সুব্রত রায়ের হাড়গোড়। হাতিখালি ও লাংটিং থানার পুলিশ যৌথ ভাবে অপহৃতদের মৃতদেহের সন্ধানে অভিযান চালায়। পাইয়েলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে জঙ্গিরা তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।

মাইবাঙে ঘরেই খুন ব্যবসায়ী
ডিমা হাসাও জেলার মাইবাঙে ঘরে ঢুকে ব্যবসায়ীকে গুলি করে মারল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানায়, কাল রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বন্দুকধারীরা মুজিবর রহমান নামে পুরনো লোহা-টিনের এক ব্যবসায়ীকে ঘুম থেকে তুলে গুলি করে পালায়। প্রথমে মাইবাঙ ও পরে হাফলঙ সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। ৩৬ বছর বয়সী মুজিবর রহমান দীর্ঘ দিন ধরে মাইবাঙের সাইডিঙে ঘর ভাড়া করে থাকতেন।

কুয়োয় পড়ে মারা গেলেন ৩ কৃষক
ঝাড়খণ্ডের গঢ়বা জেলার হুহুলাখুড়া গ্রামে সেচের কাজে নির্মিত গভীর কুয়োয় পড়ে তিন জন কৃষক মারা গিয়েছেন। আজ সকালে মাঠে চাষ করতে যাওয়ার পরে তিন জন দুর্ঘটনায় পড়েন বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ জানায়, প্রথমে একজন চাষি পা পিছলে ৩৬ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে যান। বাকি দু’জন তাঁকে বাঁচাতে গেলে তাঁদেরও একই পরিণতি ঘটে। তিন জনের দেহই উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করা হয়।

সনিয়ার আরোগ্য চেয়ে ফুল মমতার
সনিয়া গাঁধীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে আগেই আহমেদ পটেলকে ফোন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর হাত দিয়ে ফুল পাঠিয়েছেন তিনি দশ নম্বর জনপথে। সঙ্গে লিখিত শুভেচ্ছা বার্তাও।
মমতার সঙ্গে সনিয়া গাঁধীর পরিবারের ব্যক্তিগত সম্পক বেশ ভাল। রাজীব গাঁধীর বিশেষ স্নেহের পাত্রী ছিলেন মমতা। স্বাভাবিক ভাবেই সনিয়ার অসুখের খবরে উদ্বিগ্ন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। সুদীপ বন্দ্যেপাধ্যায় এবং দীনেশ ত্রিবেদীকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন আহমেদ পটেল এবং কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে।

কলমডী বহাল চুক্তির জন্যই, দাবি মাকেনের
২০০৭ সালে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজক কমিটিতে পরিবর্তন আনার কথা বলেন তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী মণিশঙ্কর আইয়ার। আজ এ কথা জানান ক্রীড়ামন্ত্রী অজয় মাকেন। কিন্তু, সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব না থাকায় এই বিষয়ে এগোনো যায়নি বলে জানান তিনি। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত আয়োজক কমিটির প্রাক্তন প্রধান সুরেশ কলমডী এখন জেলে। মাকেন জানান, কলমডীর নিয়োগ নিয়ে এনডিএ সরকার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে ইউপিএ সরকারের পক্ষে তা বদলানো সম্ভব ছিল না। কারণ, কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিল সরকার। কলমডীকে সরালে গেমস বাতিল করতে হত। মাকেন জানান, আয়োজক কমিটি নিয়ে ২০০৭-এ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন মণিশঙ্কর আইয়ার। কমিটির কার্যনির্বাহী পর্ষদে কেন্দ্রের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নেই বলে দাবি করেন মণিশঙ্কর। মাকেন জানান, কমিটির কাজকর্মে পরিবর্তন আনার পথও বাতলেছিলেন আইয়ার। বিষয়টি নিয়ে ক্যাবিনেট সচিবের সঙ্গে আলোচনা করেন মনমোহন। গেমসের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রিগোষ্ঠীও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে।
Previous Story First Page


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.