‘আলোক-ফেরি’তে আজ পা মেলাবেন মুখ্যমন্ত্রীও
বীন্দ্রনাথের সার্ধশতবর্ষে আজ, সোমবার ২২ শ্রাবণ ‘আলোক-ফেরি’তে হাঁটবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বাড়ির কাছেই হরিশ পার্ক থেকে শহিদ মিনার ময়দান পর্যন্ত ওই ‘আলোক-ফেরি’ হবে। সকাল ১০টায় যাত্রা শুরু হবে বলে মমতা রবিবার জানান।
ওই একই সময়ে কলকাতার আরও তিন জায়গা থেকে ‘আলোক-ফেরি’ বেরোবে। কবির জন্মস্থান জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি ‘আলোক-ফেরি’ মধ্য কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে শহিদ মিনারে আসবে। একই ভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কলেজ স্কোয়ার থেকেও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ‘আলোক-ফেরি’ বেরোবে। পার্কসাকার্স ময়দান থেকে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী জাভেদ খানের নেতৃত্বেও ‘আলোক-ফেরি’ শহিদ মিনার অভিমুখে যাবে। মমতা বলেন, “চারটি মিছিলেই দলের সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের অংশ নিতে বলা হয়েছে। আশা করব, শহরের সর্বস্তরের মানুষ চারটি মিছিলে অংশ নিয়ে কবিগুরুর প্রতি যথাযোগ্য শ্রদ্বা জানাবেন।”
‘আলোক-ফেরি’ ছাড়াও আজ সন্ধ্যায় কলকাতায় কবিগুরুর সার্ধশতবর্ষ পালনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রেক্ষাগৃহে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মূল অনুষ্ঠানটি হবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। সেই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের সর্বত্র দিনটি ‘যথাযোগ্য মর্যাদা’য় পালন করার জন্য মমতা দলীয় স্তরে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এ দিন থেকেই শহরের নানা এলাকায় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মাইকে রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজানো শুরু হয়ে গিয়েছে।
তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে এ দিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জরুরি সভা শুরুর আগে রবীন্দ্র জন্মোৎসব পালন করা হয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা জানান, আগামী দিনে দলের ছাত্র সংগঠনের রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং আন্দোলনের রূপরেখা কী হবে, তা নিয়ে দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হয়। সভার আগে রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে দলীয় নেতৃত্ব শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সভায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায়, দলের রাজ্য সভাপতি ও রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী সুব্রত বক্সী এবং প্রাক্তন ছাত্র নেতা, অধুনা বিধায়ক তাপস রায় উপস্থিত ছিলেন। ২৪ ঘণ্টা আগে ইউনিভার্সিটি ইন্সস্টিটিউট হলে দলের যুব সংগঠনের সভায় মুকুলবাবু যেমন যুবকর্মীদের ‘সুশৃঙ্খল’ হয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন, এ দিন দলীয় সংগঠনের ছাত্রদেরও ‘সংযত’ ও ‘সুশৃঙ্খল’ হওয়ার কথা বলেন তিনি। সেই সঙ্গে দল ক্ষমতায় থাকায় ছাত্র স্বার্থে তাদের সরকার কী কাজ করছে, তা জনমানসে তুলে ধরার কথাও মুকুলবাবু বলেছেন। জনস্বার্থে এবং ছাত্রদের সুবিধার জন্য সরকারি যে সমস্ত প্রকল্প রয়েছে, তার সুবিধা ঠিকমতো উপভোক্তারা পাচ্ছেন কি না, তা দেখার দায়িত্বও দলীয় ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের নিতে হবে বলে দলীয় নেতৃত্ব ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন।
First Page Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.