টুকরো খবর
|
পুরকর্মীর নামে নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
রক্ত, আলট্রাসোনোগ্রাফি করাতে গরিব রোগীদের কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পুরসভার মাতৃসদনের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার সরেজমিনে খতিয়ে দেখে তা ধরেন শিলিগুড়ি পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ মৈত্রেয়ী চক্রবর্তী। অভিযুক্ত কর্মীর নাম পরেশ শা। অস্থায়ী কর্মী হিসাবেই তিনি মাতৃসদনে কাজ করেন। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই মাতৃসদনে চিকিৎসা করাতে যাওয়া রোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য টাকা সংগ্রহের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। মৈত্রেয়ী দেবী বলেন, “কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে। মাতৃসদনের কাজকর্ম নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরেশ শা নামে ওই কর্মীর রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি জানান, বিষয়টি পুর কমিশনারকে জানানো হয়েছে। শীঘ্রই আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। রোগীদের থেকে এ ভাবে টাকা নেওয়া-সহ মাতৃসদনের বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল। অথচ পুর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি। পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, মাতৃসদনে চিকিৎসা করাতে যাওয়া বিপিএলভুক্ত প্রসূতিদের আলট্রাসোনোগ্রাফির জন্য ৫৮ টাকা দিতে হয়। এপিএল পরিবারের বাসিন্দাদের কাছ থেকে নেওয়া হয় ১৫৫ টাকা। অথচ বিপিএলদের কাছ থেকে ১৫৫ টাকা করে নিত অভিযুক্ত কর্মী। অথচ মাতৃসদনের খাতায় তা ৮৫ টাকা করেই নথিভুক্ত করা হত। এ ভাবে বাড়তি টাকা নিয়ে ওই কর্মী আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। একই ভাবে মূত্র পরীক্ষার জন্য এপিএলদের ১৫ টাকা এবং বিপিএলদের কাছ থেকে ১০ টাকা নেওয়ার নিয়ম। অথচ ওই কর্মী ৪০ টাকা পর্যন্ত রোগীদের কাছ থেকে নিতেন বলে অভিযোগ। অন্য পরীক্ষার ক্ষেত্রেও ওই কর্মীর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ জানান রোগী এবং তাঁদের পরিবারের লোকদের একাংশ।
|
নবজাতকদের নয়া চিকিৎসা কেন্দ্র বাঙুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের প্রথম ‘স্যাটেলাইট সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট’ চালু হতে চলেছে এম আর বাঙুর হাসপাতালে। এসএসকেএম হাসপাতালের নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটের সহযোগী হিসেবে সেপ্টেম্বর থেকে এটি কাজ শুরু করবে বলে জানান রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কমিশনার দিলীপ ঘোষ। কী ভাবে কাজ করবে এই কেন্দ্র? রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এসএসকেএমে রোগীর চাপ খুব বেশি। সদ্যোজাত অসুস্থ শিশুদের অনেকেই রাজ্যের দূরদূরান্ত থেকে এসে ভর্তির সুযোগ পায় না। ফলে বিনা চিকিৎসায় অনেক শিশুর মৃত্যু হয়। শিশু-মৃত্যুর হার কমাতেই এসএসকেএমে ঠাঁই না-পাওয়া অসুস্থ নবজাতকদের পাঠানো হবে এম আর বাঙুর হাসপাতালে। সেই জন্য বাছাই করা চিকিৎসকদের আলাদা ভাবে প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর গোটা রাজ্যে ২০টি সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট চালু করার কথা। কিন্তু স্যাটেলাইট কেয়ার ইউনিট আপাতত একটিই হচ্ছে। এর সাফল্য দেখে পরে এই ধরনের আরও কেন্দ্র চালু করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
|
মশা মারতে ঘাস |
মশার মোকাবিলায় টালি নালার পাড়ে ‘সিট্রোনেলা’ বা ‘লেমন গ্রাস’ রোপণ শুরু করল কলকাতা পুরসভা। মেট্রো রেল তৈরি পর থেকে গঙ্গার সঙ্গে যুক্ত দক্ষিণ কলকাতার ওই প্রাচীন খাল কার্যত নর্দমায় পরিণত হয়েছে। সেখানে মশার উপদ্রব কমাতে পুরসভার নানা চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তাই পুরসভা এ বার ‘বিআরডব্লিউএস’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নাকতলা থেকে কুঁদঘাট পর্যন্ত খালের পাড়ে লেমন গ্রাস রোপণ শুরু করল বুধবার। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। সংস্থার কর্ণধার শান্তনু ভট্টাচার্য বলেন, “এই ঘাস কেবল মশাই তাড়াবে না, ভেষজ গুণের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।” |
|