লোকালয়ে বুনো হাতির হানা চলছেই। মঙ্গলবার রাতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জয়ন্তী জঙ্গল থেকে ডুয়ার্সের রহিমাবাদ চা বাগান ও নুরপুর গ্রামে ঢুকে দুটি দাঁতাল তাণ্ডব চালায়। দুটি এলাকায় ৭টি কাঁচা বাড়ি ভেঙে চাল, আটা ও লবণ খায়। নষ্ট করে পাট খেত। বনকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় বুনো দুটি জঙ্গলে ফিরে যায়। রহিমাবাদ চা বাগান এলাকার বাসিন্দারা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে এলাকায় হাতির উৎপাত চলছে। ইতিমধ্যে ১৮টি কাঁচা বাড়ি ভেঙেছে। মঙ্গলবার রাতে একটি দাঁতাল লোকালয়ে ঢুকে নকুল মাহাতো, দেববাহাদুর ছেত্রী, মহাদেব বড়াইক ও ক্ষুদিরাম টুডুর ঘর ভাঙে।
|
অরণ্য সপ্তাহের জন্য তৈরি চারাগাছের একাংশ উপড়ে ফেলা, পা দিয়ে থেঁতলে দেওয়া ও চুরির অভিযোগে পুলিশ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, মানবাজার থানার হুল্লুং গ্রামের বাসিন্দা ভাদরি সিং ও চিত্ত মাহাতোকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। মানবাজারের বন আধিকারিক বিকাশ পাত্র বলেন, “বন রক্ষা কমিটির সদস্যরাই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেছেন। কয়েক হাজার টাকার চারাগছ নষ্ট হয়েছে।”
|
হাতি খেদানো দেখতে গিয়ে বুনো হাতির হামলায় মৃত্যু হল এক ছাত্রের। বুধবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের বিরিহাঁড়ির জঙ্গলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতের নাম মৃণাল মাহাতো (১৭)। বাড়ি স্থানীয় বড়পাল গ্রামে। ওই এলাকায় বেশ কয়েক দিন ধরে বুনো হাতির পাল দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে। এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। মঙ্গলবার থেকে এলাকায় হুলা পার্টি নিয়ে হাতি খেদানো শুরু করেছে বন দফতর। বুধবার বিকেলে হাতি খেদানো চলাকালীন পালের একটি হাতি ছুটে এসে মৃণালের উপর চড়াও হয়। গুরুতর জখম বিড়িহাঁড়ি হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রটিকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। |