|
|
|
|
ফের ১৮ হাজারের নীচে সেনসেক্স |
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন করে মন্দার মেঘ ঘনিয়ে আসতে পারে, এই আশঙ্কাতেই বুধবার ১৮ হাজারের নীচে নেমে গেল সেনসেক্স। মুম্বই বাজারের এই সূচক এ দিন আরও ১৬৯ পয়েন্ট পড়ে যায়। বাজার বন্ধের সময়ে সেনসেক্স ছিল ১৭,৯৪০.৫৫ পয়েন্টে, যা গত ছ’সপ্তাহের মধ্যে সব চেয়ে কম। মঙ্গলবারও সেনসেক্স পড়েছিল প্রায় ২০৪ পয়েন্ট। ফলে এই দু’দিনে সেনসেক্সের পতন ৩৭৩ অঙ্ক। সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার অবশ্য সূচক বেড়েছিল ১১৭ পয়েন্ট।
এশিয়া এবং ইউরোপের বাজার বুধবারও ঝিমিয়ে ছিল। খোলার পর পড়তে থাকে মার্কিন বাজারও। ঋণের ঊর্ধ্বসীমা বিল মার্কিন কংগ্রেসে মঙ্গলবার পাশ হওয়ায় আমেরিকা বড় ধরনের আর্থিক বিপর্যয় থেকে রেহাই পেলেও পশ্চিমী দুনিয়ার অর্থনীতি আদৌ স্থিতিশীল নয় বলেই আশঙ্কা বাজারে। পাশাপাশি, ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার পূর্বাভাস সূচকের পতনে ইন্ধন জুগিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর্থিক সংস্থা গ্লোব ক্যাপিটালের তরফে কে কে মিত্তল বলেন, “বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধির হার নিয়ে শঙ্কার জেরেই ভারতে পড়েছে ব্যাঙ্কিং এবং তথ্যপ্রযুক্তি শেয়ারের দর।” ব্রোকারদের সূত্রে খবর, ভারতে চড়া মূল্যবৃদ্ধি এবং তার উপর রাশ টানতে ব্যাঙ্কঋণে সুদ বাড়ানোর জেরে শিল্পোৎপাদনও বাড়ছে ঢিমে তালে। এরই প্রভাবে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে ৪.৩৩% পড়ে যায় ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা লার্সেন অ্যান্ড টুব্রোর দর। রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর দর পড়েছে ১.১৯%, টাটা মোটরস ৩%। এ ছাড়া আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের শেয়ারও পড়েছে ১.৯৭%। বিশ্ব অর্থনীতি এবং দেশের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে দুশ্চিন্তা ছাড়া মুনাফা বৃদ্ধির তাগিদেও শেয়ার বেচতে থাকেন লগ্নিকারীরা।
ভারতে ইন্ডিয়া ইনফোলাইন-এর গবেষণা বিভাগের প্রধান অমর অম্বানী অবশ্য দেশের বাজার নিয়ে আশাবাদী। তিনি বলেন, “আশা করা যায় দু’দিন পড়ার পর ফের উঠবে বাজার।” বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, বিশ্ব জুড়ে মন্দার ছায়া সরিয়ে এই মুহূর্তে ভারতে আশার আলো দেখাতে পারে একমাত্র বর্ষার মেঘ। দেশ জুড়ে ভাল বৃষ্টিপাতের হাত ধরেই সেনসেক্স ফের ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন তাঁরা। |
|
|
|
|
|