|
|
|
|
দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থায় সামিল দুই সিপিএম সদস্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মঙ্গলকোট |
দলীয় প্রধান ও উপপ্রধানকে পদচ্যুত করতে কংগ্রেস ও তৃণমূলের সঙ্গে বিডিও-র কাছে জমা দেওয়া অনাস্থা প্রস্তাবে সই করলেন সিপিএমের দুই পঞ্চায়েত সদস্য। বুধবার মঙ্গলকোটের মাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের ৮ জন সদস্য প্রধান ও উপপ্রধানের দুর্নীতির অভিযোগে এই অনাস্থা জমা দিয়েছেন। বিডিও মনিরুদ্দিন ফারুকি জানান, ১২ অগস্ট আস্থা ভোট হবে।
মাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩ জন সদস্যের মধ্যে ৭ জন সিপিএমের, ৪ জন কংগ্রেসের এবং দু’জন তৃণমূল থেকে নির্বাচিত। ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের পরে প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচিত হন ঝুলন মাঝি ও বসিরুদ্দিন শেখ। কংগ্রেসের দাবি, সিপিএমের ৭ জন সদস্যের মধ্যে ২ জন গত সপ্তাহে তাদের দলে যোগ দিয়েছেন। দলত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া ওই দুই সদস্য হলেন কাঁকোড়া গ্রামের সুমিত্রা মেটে ও বকুলিয়ার কল্পনা ঘোষ। মাজিগ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তথা কংগ্রেস নেতা সুজিত দত্ত বলেন, “ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্য আমাদের দলে যোগ দেওয়ার কথা লিখিত ভাবে জানিয়েছেন।” বিডিও-র কাছে পঞ্চায়েত সদস্যেরা জানিয়েছেন, মাজিগ্রাম পঞ্চায়েতে দুর্নীতি চলছে। প্রশাসন বলে কার্যত কিছুই নেই। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা নয়-ছয় করার অভিযোগ আনা হয়েছে। সেই কারণে তাঁরা সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চান। বর্ধমান জেলা কংগ্রেসের নেতা জগদীশ দত্ত বলেন, “৮ জন সদস্যই বিডিও-র কাছে গিয়ে অনাস্থার চিঠি জমা দিয়ে এসেছেন।” কয়েক সপ্তাহ আগে কাঁকোড়া গ্রামের বাসিন্দারা একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে প্রধান ঝুলন মাঝিকে কয়েক ঘণ্টা আটক করে রেখেছিলেন। এ দিন তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার প্রসঙ্গে প্রধান বলেন, “যা বলার দলীয় নেতৃত্ব বলবেন।” সিপিএমের ভাগীরথী-অজয় জোনাল কমিটির সদস্য তথা মঙ্গলকোটের বিধায়ক শাহজাহান চৌধুরী বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্যের দলত্যাগ থেকে অনাস্থার চিঠি দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।” |
|
|
|
|
|