|
|
|
|
|
|
|
ইসকুলে মুশকিল |
উত্তর দিচ্ছেন পুষ্পা মিশ্র |
|
আমি যখন পড়ি, তখন আমার মন অন্য দিকে চলে যায়। পড়াশোনা কিছুই হয় না। ফলে পরীক্ষা ভাল নম্বর পাই না। কী করলে মনোযোগ সহকারে পড়তে পারব?
তন্ময় দাস কর্মকার। ষষ্ঠ শ্রেণি, বিরাটি হাই স্কুল
তন্ময়, আমরা যদি সামনে বই খুলে শুধু পড়তে চেষ্টা করি, তা হলে আমাদের সকলের মন খানিকক্ষণ পরে অন্য দিকে চলে যাবে। সুতরাং নিষ্ক্রিয় ভাবে না পড়ে, সক্রিয় ভাবে পড়ো। তা হলে এই অসুবিধে কমে যাবে। অর্থাৎ যা পড়লে, তা তক্ষুনি লিখে ফেল, অথবা মাকে বলো সেটা থেকে প্রশ্ন করবে। বুঝে পড়বে, আর যা পড়ছ, তা নিয়ে তুমি নিজে প্রশ্ন তৈরি করে, বইতে তার উত্তর খোঁজ। যেমন ধরো, আকবরের শাসন ব্যবস্থা সম্বন্ধে পড়ছ। নিজেকেই প্রশ্ন করো, আকবরের শাসন ব্যবস্থার কী বৈশিষ্ট্য ছিল, তার ফল কী হয়েছিল? তার পর বইয়ে এ সম্বন্ধে কী লেখা আছে, খুঁজে সেটা পড়ো এবং লিখে ফেলো।
|
|
আমি পরীক্ষার সময় খুব কাঁদি। জানি না কেন, এই সিক্সের ফাইনাল দেওয়ার সময় থেকেই আমার মনে একটা আতঙ্ক জন্মেছে। শুধু মনে হয়, একটা রাতে আমি পুরো বই পড়ব কখন? কী ব্যবস্থা নিলে আমার আতঙ্কটা মন থেকে দূর হবে?
মনীষা হালদার। সপ্তম শ্রেণি |
|
মনীষা, তুমি কি পরীক্ষার আগের রাতেই পুরো পড়া তৈরি করো? নিশ্চয়ই না। তোমার পড়া আগেই তৈরি আছে, তুমি শুধু ‘রিভাইজ’ করছ। তুমি যদি পড়া বুঝে পড়ে থাকো, তা হলে এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যদি শুধু মুখস্থর ওপর নির্ভর করো, তা হলে ভুলে যাওয়ার ভয় থাকে। মনে রেখো, যেটা বুঝেছ, সেটা তুমি নিজের ভাষাতে লিখতে পারো। বইয়ের ভাষা হুবহু লিখতে হবে এমন কোনও কথা নেই। আর যখন পড়বে, মূল পয়েন্টগুলো বই বা খাতায় লিখে রাখবে। যদি রিভাইজ করার সময় না থাকে, ওই পয়েন্টগুলো দেখে নিজের ভাষায় লিখো। মনে রেখো, পরীক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে তুমি বিষয়টা শিখেছ কি না, সেটুকু জানা। তার বেশি আর কিছু নয়। সুতরাং, পরীক্ষাকে সহজ ভাবে নাও।
|
আমার বাড়ির আন্টি আমাকে সপ্তাহে তিন দিনের বেশি খেলার সময় দেন না। আমি যখন পড়ি, তখন আমার বন্ধুরা আমার সামনে খেলে। ফলে আমি তখন অন্যমনস্ক হয়ে পড়ি। এর জন্য আন্টি আমায় খুব বকেন।
শাশ্বতী কুণ্ডু। চতুর্থ শ্রেণি |
|
|
তোমার আন্টি কি খেলার সময়ের পরে আসতে পারেন না? তোমার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে দেখো। কিন্তু আন্টি যদি অন্য সময়ে আসেন? তুমিও কথা দাও যে, তখন তুমি মন দিয়ে পড়াশোনা করবে। |
|
খামে ভরো মুশকিল |
পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের।
চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো: |
|
ইসকুলে মুশকিল,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|