|
|
|
|
ঘুমন্ত কাকাকে খুন, ধৃত দুই ভাইপো |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
শরিকি টিউবওয়েল ব্যবহার করা নিয়ে গোলমাল। তার জেরে ভাড়াটে খুনি দিয়ে ঘুমন্ত কাকাকে খুনের অভিযোগ উঠল দুই ভাইপোর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মালদহের রতুয়া থানার পূর্ব রুকুন্দিপুর গ্রামে ওই খুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম সন্তোষ মণ্ডল (৩২)। রাতে বাড়ির বারান্দায় খাটিয়া পেতে ঘুমিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে পালায়। ওই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নিহতের দুই ভাইপোকে গ্রেফতার করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “পারিবারিক বিবাদের জেরে ভাইপোরা ভাড়াটে খুনি দিয়ে কাকাকে গুলি করে খুন করিয়েছে। খুন করানোর অভিযোগে দুই ভাইপোকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জেরা করা হচ্ছে। ভাড়াটে খুনিদের খোঁজ চলছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে সন্তোষবাবু বাড়ির বারান্দায় একটি খাটিয়ায় শুয়েছিলেন। পাশে ছিলেন স্ত্রী রীতাদেবী। মাঝরাতে গুলির শব্দে ঘুম ভাঙে রীতাদেবীর। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ঘুম ভাঙতেই তিনি দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর স্বামী পড়ে রয়েছেন। চোখেমুখে রক্ত। চারদিক ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। মৃতদেহ পরীক্ষা করার পরে পুলিশের অনুমান, ভাড়াটে খুনিরা সন্তোষবাবুর বাঁ দিকের পাঁজরের নীচে রিভলভার ঠেকিয়ে গুলি করে। গুলি বাঁ দিকে ঢুকে ডান দিকের পাঁজরের ভিতর দিয়ে দেহের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জেনেছে, সন্তোষবাবু এবং তাঁর ভাই বলরামবাবু পাশাপাশি থাকেন। বাড়ির মাঝে একটি টিউবওয়েল রয়েছে। সেটি ব্যবহার করা নিয়ে সন্তোষবাবুর সঙ্গে বলরামবাবুর বেশ কিছুদিন ধরে বিবাদ চলছিল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, এই বিবাদের জেরে কাকাকে শায়েস্তা করতে বিহারের কাটিহার থেকে ভাড়াটে খুনি এনেছিল দুই ভাইপো। ভাইপোদের নির্দেশে ভাড়াটে খুনিরা সন্তোষবাবুকে খুন করে। যে গুলি দিয়ে ভাড়াটে খুনিরা সন্তোষবাবুকে খুন করে সেটির খালি খোল মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ ২৭ জুলাই বিহারের কাটিহার থেকে রতুয়ায় ট্রেনে ফেরার টিকিট উদ্ধার করেছে। পুলিশের অনুমান, ওই দিনই ধৃতরা কাটিহার থেকে ভাড়াটে খুনি সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল। এ দিকে ধৃত দুই ভাইপো পুলিশকে জানিয়েছে, রাতে বাড়িতে গরু চুরি করতে চোর ঢুকেছিল। কাকা ‘চোর, চোর’ বলে চেঁচামেচি করায় চোরেরা কাকাকে গুলি করে পালিয়েছে। যদিও ধৃতদের এই বক্তব্য বিশ্বাস করেনি পুলিশ। কেননা, গরুচোরদের কথা মৃতের স্ত্রী কিংবা গ্রামের আর কেউ বলেনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতদের জেরা চলছে। ভাড়াটে খুনির সন্ধান মিলবে বলে আশা করছি।” |
|
|
|
|
|