টুকরো খবর

পশ্চিমবঙ্গে কোনও বন্ধ কারখানার জমি রাজ্য সরকার আর ফেলে রাখতে দেবে না। প্রয়োজনে তা অধিগ্রহণ করে নেওয়া হবে বলে শুক্রবার জানিয়ে দিলেন শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু।এ দিন পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, এ রাজ্যে বিভিন্ন বন্ধ শিল্প-কারখানার হাতে প্রায় ৪৪ হাজার একর জমি রয়েছে। ওই সব জমিতে প্রোমোটারি করতে দেওয়া হবে না। মন্ত্রী জানান, জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত রাজ্যের যে আইন রয়েছে, তার একটি ধারায় বন্ধ কারখানার জমি সরকার নিয়ে নিতে পারে শুধু একটা বিজ্ঞপ্তি জারি করে। শ্রমমন্ত্রী আরও বলেন, বন্ধ কারখানা খুলতে মালিকেরা ব্যাঙ্ক-ঋণ নিলে রাজ্য সরকার আর জামিনদার হবে না। অব্যবহৃত জমি বেচে কারখানা খোলা বা শ্রমিকদের পাওনাগন্ডা মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজ হবে না। কারখানা যিনি খুলতে চান, অর্থের সংস্থান তাঁকেই করতে হবে। তবে মন্ত্রীর আশ্বাস, “কেউ কোনও বন্ধ কারখানা খুলতে চাইলে রাজ্য সরকার সব রকম সাহায্য করবে। করে ছাড় দিয়ে কিংবা অন্য যে ভাবে সম্ভব।”মন্ত্রী জানান, সরকার ইতিমধ্যে বন্ধ শিল্পসংস্থার জমির হদিস পাওয়ার কাজ শুরু করেছে। বড়, ছোট, মাঝারি বন্ধ হয়ে যাওয়া সব ধরনের কারখানার জমির খোঁজ চলছে। কারও জমি নিয়ে নেওয়ার আগে সরকার অবশ্য সংশ্লিষ্ট কারখানার মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলবে বলে জানিয়েছেন পূর্ণেন্দুবাবু।

আরও এক বার সাধারণের ভিড়ে মিশে থাকা ‘অসাধারণদের’ খুঁজে নেওয়ার পালা। ‘সালাম’ জানানো তাঁদের, প্রচারের আলোয় না থেকেও যাঁরা নিজের মতো করে আলোকিত করেন চারপাশটাকে। শিক্ষা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা, খেলাধুলো এবং সাহসিকতায় যাঁদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অবদানে আরও খানিকটা এগিয়ে যায় সমাজের বাকিরা। আড়ালে থেকে একের পর এক নজির গড়ে চলা সেই মুখগুলোকেই খুঁজে নিতে ফের হাজির হচ্ছে ‘অফিসার্স চয়েস আনন্দলোক সালাম বেঙ্গল’। শুক্রবার দুপুরে শহরের একটি হোটেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে উদ্যোক্তারা জানালেন, গত দু’বারের মতোই কলকাতা, উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের অসংখ্য আবেদনকারীর ভিড় থেকে প্রাথমিক বাছাইয়ের পরে চারটি বিভাগে প্রতিটি অঞ্চলের সেরাদের বেছে নেবেন স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত, অভিরূপ সরকার, দিব্যেন্দু বড়ুয়া এবং অগ্নিমিত্রা পাল। এর পরে সেপ্টেম্বরের শেষে কলকাতা, শিলিগুড়ি ও বর্ধমানে বিজয়ীদের মাথায় উঠবে সেরার মুকুট। অভিরূপবাবু বাদে বাকি তিন বিচারকই হাজির ছিলেন এ দিনের অনুষ্ঠানে। এই উদ্যোগে ফের শরিক হতে পেরে স্বাগতালক্ষ্মী যখন আপ্লুত, অগ্নিমিত্রা চেয়েছেন এই চার বিভাগ ছাড়া অন্য কাজও স্বীকৃতি পাক আগামী দিনে। এই প্রয়াসে এ বারই প্রথম সামিল দিব্যেন্দুবাবু বলেন, “নিজেদের হার জিতের কথা না ভেবে শুধু অন্যদের ভাল রাখতে ওঁরা কাজ করছেন। ওঁরা তো প্রত্যেকেই বিজয়ী।” ওঁরা জিতে গিয়েছেন আগেই। এ বার শুধু আলোয় আসার পালা।

এ বার পুরো জঙ্গলমহলে কেন্দ্রীয় অর্থে রাস্তার আর্জি
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মাওবাদী অধ্যুষিত ১১টি ব্লকে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরির জন্য পুরো টাকাই দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১১টি ব্লক নয়, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া-সহ পুরো জঙ্গলমহলেই প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরির অনুমতি দিক কেন্দ্র। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। যে-সব এলাকায় ৫০০ থেকে ১০০০ পরিবারের বাস, সেখানে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় সাড়ে রাস্তা তৈরি করা হয়। তবে পাহাড়ি অঞ্চল এবং মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা (লেফট উইং এক্সট্রিমিস্ট বা এলডব্লিউই)-য় ২৫০ পরিবার থাকলেই ওই প্রকল্পে রাস্তা তৈরি করা যায়। সাড়ে সাত মিটার চওড়া সেই সব রাস্তায় পিচের অংশ থাকে ছয় মিটার। এ রাজ্যে এলডব্লিউই তালিকাভুক্ত এলাকা শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরের ১১টি ব্লক। মুখ্যমন্ত্রী চান, এলডব্লিউই-তালিকাভুক্ত না-হলেও বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়াতেও ওই কেন্দ্রীয় যোজনায় রাস্তা তৈরির অনুমতি দেওয়া হোক। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে দিল্লিতে বিভিন্ন স্তরে কথা বলেছেন। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার ছোট ছোট বসতির ধারে ৫৬টি রাস্তা তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানিয়েছি। প্রস্তাবিত রাস্তার পাশে ২৫০ বা তার বেশি পরিবার আছে ১০৮টি জায়গায়।”
Previous Story Rajya First Page


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.