|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
নূতন বইমেলায় নূতন রীতি |
বইপোকা |
এই সপ্তাহে নগরে এক নূতন বইমেলা। বইমেলা বলিতেই যে সংস্থাটির নাম জিহ্বাগ্রে আসিয়া পড়ে সেই পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সহিত ইহার কোনও সম্পর্ক নাই। ইহার আয়োজক রাজ্য সরকার এবং প্রকাশক ও লেখকদের নূতন সংস্থা কনসর্টিয়াম ফর বুকস অ্যান্ড কালচার। বইমেলাটি শুরু হইয়াছে গতকল্য। চলিবে ৯ অগস্ট পর্যন্ত। ইহা সরকারি রবীন্দ্র-উদ্যাপনের অঙ্গ। প্রেমেন্দ্র মিত্র একদা বলিয়াছিলেন গ্রন্থ পার্বণের কথা, যে পার্বণ পঁচিশে বৈশাখ উদ্যাপনের সঙ্গী হইতে পারে। এই বার বাইশে শ্রাবণ স্মরণের সঙ্গী হইল বইমেলা। বইমেলা এখন নগরে গ্রামে ছড়াইয়া যাইতেছে, কিন্তু এই বইমেলার অ্যাক নূতন হইল, ইহাতে প্রকাশক ব্যতীত কেহ বিপণি পান নাই। অর্থাৎ ইহাতে একই বই হরেক বিপণিতে মিলিবে না। আর অ্যাক নূতন, এই মেলায় দশ শতাংশ ছাড়ে গ্রন্থ বিক্রয় করিতেই হইবে এমন কোনও নির্দেশ কনসর্টিয়াম কর্তৃপক্ষ দেয় নাই। গ্রন্থবিক্রয় ইহাতে কমিবে কি না তাহা মেলার কয়েক দিন গত হইলে বুঝিতে পারা যাইবে। কিন্তু বইমেলার প্রচলিত ধারণায় এই পরিবর্তনের আভাষটুকু একটি সুলক্ষণের বার্তা বহন করিয়া আনে। তাহা হইল গ্রন্থকেও একটি পণ্য হিসাবে দেখিবার সঙ্গত ভাবনা। মূল্য বাড়াইয়া রাখিয়া ‘ছাড়’ না দিয়া বরং যথার্থ মূল্যটিই ‘কভার প্রাইস’ হউক। বিস্তর আগাছা-প্রতিম গ্রন্থ প্রকাশ করিয়া অবিক্রীতদের নানা প্রলোভনে ক্রেতার গৃহে পাঠাইয়া দিবার প্রবণতা অপেক্ষা রীতিমতো সম্ভাব্য-ক্রেতা সমীক্ষা করিয়া স্বল্পসংখ্যক সুচিন্তিত গ্রন্থের প্রয়োজনীয় সংখ্যক কপি মুদ্রিত করাই শ্রেয়তর। তাহাতে কাগজের ব্যবহার কমিবে, অরণ্যসম্পদও রক্ষা পাইবে। |
|
|
|
|
|