|
|
|
|
নিয়োগে ‘দুর্নীতি’ আড়শায় |
সাসপেন্ড সিডিপিও, বেতন বন্ধ করা হল অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
বান্দোয়ানের পরে আড়শা।
নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের পরে এর আগে বান্দোয়ানে ৯ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর বেতন বন্ধ করেছিল প্রশাসন। একই অভিযোগে এ বার আড়শা ব্লকের ৩৫ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং ৬৩ জন সহায়িকার বেতন আপাতত বন্ধ করল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। শুধু তাই নয়, ওই ব্লকের সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্প আধিকারিক (সিডিপিও) ঈশ্বরচন্দ্র মুর্মুকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের সচিব পি কে সামন্তর কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পেয়ে শুক্রবার ঈশ্বরবাবুকে সাসপেনশনের চিঠি ধরানো হয়েছে। জেলাশাসক অবনীন্দ্র সিংহ বলেন, “নিয়োগে দুর্নীতির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক আড়শা ব্লকের সিডিপিও-কে সাসপেন্ড করা হয়েছে।”
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আড়শা ব্লকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা পদে নিয়োগের জন্য ২০১০ সালের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। ওই বছরই সেপ্টেম্বরে নিয়োগের জন্য মৌখিক পরীক্ষাও হয়। অঙ্গনওয়াড়ি ও সহায়িকার শূন্যপদ ছিল যথাক্রমে ৩৫ ও ৬৩। এ বছর মার্চে ওই সব পদে নিয়োগ করা হয়। গত ১ মার্চ বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরে কী ভাবে নিয়োগ হতে পারে, সে প্রশ্ন তুলে গোটী নিয়োগ প্রক্রিয়ার তদন্ত দাবি করে আন্দোলনে নামে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য ছিল, উপরোক্ত দু’টি পদে যাঁদের যোগ দিতে বলা হয়েছিল, তাঁদের নিয়োগপত্রে ২৮ মার্চ তারিখের উল্লেখ থাকলেও ভোট ঘোষণা হওয়ার পরে ‘নিয়মবিরুদ্ধ’ ভাবে আগের তারিখ দিয়ে নিয়োগপত্র পাঠানো হয়েছিল সফল প্রার্থীদের কাছে। এলাকার একটি শাখা ডাকঘর থেকে একই সঙ্গে সমস্ত নিয়োগপত্র পাঠানো হয়।
অভিযোগের তদন্তে নেমে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কিছু ‘অসঙ্গতি’ পায় প্রশাসনও। সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পের জেলা আধিকারিক স্বপন মুখোপাধ্যায় বলেন, “তদন্তে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নানা অসঙ্গতি দেখা গিয়েছে।” জেলাশাসক বলেন, “যাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল (৩৫ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও ৬৩ জন সহায়িকা), তাঁদের বেতন আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। নারী ও শিশুকল্যাণ দফতর এ ব্যাপারে বিশদে তদন্ত করবে। তত দিন পর্যন্ত ওঁদের বেতন স্থগিত থাকবে।” সাসপেন্ড হওয়া আড়শা ব্লক সিডিপিও ঈশ্বরবাবুর প্রতিক্রিয়া, “আমি সাসপেনশনের চিঠি পেয়েছি। বেতন বন্ধের বিষয়টিও জেনেছি। এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। তবে আমিও চাই তদন্ত হোক।” |
|
|
|
|
|