সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে এক বাঁশি বিক্রেতার বাঁশি বাজানো শুনে বাঁশির প্রেমে পড়েছিলেন সিউড়ির ইন্দিরা পল্লির বাসিন্দা মণ্টু মাজি। ওই বাঁশি বিক্রেতার কাছ থেকে একটি বাঁশি কিনে তা বাজানোর চেষ্টা করেন। পরে এক যাত্রাপালায় আবহসঙ্গীতে বাঁশি শুনে সেই বাঁশি বাদক দেবপ্রসাদ ভট্টাচার্যের কাছে তালিম নিতে শুরু করেন মণ্টুবাবু। পরে বর্ধমানের অরবিন্দ চট্টোপাধ্যায় ও বহরমপুরের বুদ্ধদেব বাগচীর কাছেও তালিম নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সিউড়ির বাসিন্দা প্রয়াত প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী জগন্নাথ মাজির গান রেওয়াজের সঙ্গে বাঁশি বাজাতেন তিনি। ক্রমে সিউড়ির বিভিন্ন নাট্য সংস্থার আবহসঙ্গীতে বাঁশি বাজিয়ে পরিচিতি লাভ করেন তিনি। গত ৩৫ বছরে তিনি কীর্তন, যাত্রা, বাউল, আধুনিক প্রভৃতি গানের সঙ্গে বাঁশি বাজিয়েছেন এই রাজ্যের প্রায় সব জেলা ছাড়া, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, লক্ষনউ, পুনে, দিল্লিতে। সব মিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার অনুষ্ঠানে বাঁশি বাজিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর উজ্জ্বল স্মৃতি হল বছর সাতেক আগে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর জন্মদিনে, যেখানে ইন্দিরা গাঁধী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন সেই জায়গায় বাউল গানের সঙ্গে বাঁশি বাজিয়েছেন মণ্টুবাবু। তা শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধী।
|
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মতিথি উপলক্ষে গত ২৪ ও ২৫ জুলাই লাভপুরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়েছে। প্রথম দিন বিকেলে তারামায়ের ডাঙায় গড়ে ওঠা তারাশঙ্কর ভবনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লেখক শক্তিপদ রাজগুরু। পরের দিন দুপুরে তারাশঙ্করের পরিবারের কাছারিবাড়ি ধাত্রীদেবতায় লাভপুর ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতির যৌথ উদ্যোগে তারাশঙ্করের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে আলোচনা, ক্যুইজ, প্রবন্ধ ও আঁঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ওই দিন বিকেলে সংস্কৃতি ভবনে বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী আয়োজন করেছিল লেখকের গল্প ও উপন্যাসের গানের অনুষ্ঠান। গানের ফাঁকে ফাঁকে লেখকের লেখার নাট্যরূপের গানগুলির স্মৃতিকথা পাঠ করা হয়েছে।
|
সিউড়ির ‘আত্মজ’ নাট্য সংস্থা আয়োজিত সারা বাংলা প্রতিমাসের থিয়েটার উৎসবে গত রবিবার সিউড়ি রবীন্দ্র সদনে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের ‘নাট্যম বলাকা’ মঞ্চস্থ করে ‘ভৌতিক’ নাটকটি। ওই দিনও নাটক শুরুর আগে রবীন্দ্র সদনের বেহাল দশা নিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেন আত্মজ সংস্থার কর্ণধার মুকুল সিদ্দিকী।
|
• পূর্বাঞ্চলীয় নাটক প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা জিতে নিল পুরুলিয়ার বাবলিং বাডস স্কুল। বিশ্বউষ্ণায়নের বিরুদ্ধে তাদের প্রযোজনা ‘পিঁড়িহ পিঁড়িহ একই সিঁড়ি’ নিয়ে জেলাস্তরের প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান দখল করে রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল ওই স্কুল। ২২ জুলাই কলকাতার বিড়লা শিল্প ও কারিগরি সংগ্রহশালা প্রেক্ষাগৃহে ওই নাটক প্রথম পুরস্কার জিতে পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার সুযোগ পায়। ২৮ল জুলাই একই প্রেক্ষাগৃহে এই আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় নাগাল্যান্ড, অসম মেঘালয়, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৮টি রাজ্যের শ্রেষ্ঠস্কুলগুলি তাদের নাটক নিয়ে যোগ দিয়েছিল। প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ নাট্যকারের সম্মান পেয়েছেন কুচিল মুখোপাধ্যায় ও শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর সম্মান পেয়েছে পুরুলিয়ায় সুস্মিতা মাহাতো। জেলার এই নাটকটি সেপ্টেম্বর মাসে বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে। ২০০১ ও ২০০২ সালের পরে তৃতীয় বার রাজ্য চ্যাম্পিয়ান হল পুরুলিয়ার এই স্কুল।
• পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে নিয়ে একটি আলোচনা হয়ে গেল খাতড়া ব্লকের হেতাশোল সম্মিলনী হাইস্কুল ও কাশীপুর হাইস্কুলে। স্থানীয় পরিবেশ রক্ষা মঞ্চ নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ২৫ ও ২৬ জুলাই অনুষ্ঠান হয়েছে। পরিবেশ বিষয়ে ক্যুইজ ও সঙ্গীতে যোগ দিয়েছিল স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে অনুষ্ঠাতি আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন খাতড়া আদিবাসী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ গৌরাঙ্গসুন্দর সুবুদ্ধি, তুলসীচরণ মণ্ডল, আদিত্যকুমার মণ্ডল-সহ বিশিষ্টজনেরা।
• সম্প্রতি পুরুলিয়া শহরের হরিপদ সাহিত্য মন্দিরে একটি অনলাইন পত্রিকার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন শিল্পী ভাস্কর দাশগুপ্ত প্রমুখ।
• স্থানীয় ঘুঙুর নৃত্যগোষ্ঠীর আয়োজনে কাল রবিবার খাতড়া গুরুসদয় মঞ্চে হবে নৃত্যানুষ্ঠান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে।
|
আকাশবানীর উদ্যোগে বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে শনিবার
হয়ে গেল আঞ্চলিক লোক ও লঘু সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। |