শতাব্দী প্রাচীন ধুলিয়ান পুরসভা। বিড়ি শিল্পের অন্যতম কেন্দ্র ধুলিয়ান শহর ও লাগোয়া এলাকা। বিড়ি শিল্প ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসার অন্যতম কেন্দ্র ধুলিয়ান এলাকা ঘন বসতিতে পূর্ণ। ফলে বিভিন্ন জরুরি কাজে ওই এলাকার মানুষকে ধুলিয়ানের বাইরে যেতে হয়। ধুলিয়ান পুরসভা এলাকার বাইরের লাগোয়া এলাকায় রয়েছে ধুলিয়ান গঙ্গা স্টেশন। ওই স্টেশন ছুঁয়ে রাতের বেলায় তিনটি এক্সপ্রেস ট্রেন যায়। (১) রাধিকা -কলকাতা এক্সপ্রেস, (২) কামরূপ এক্সপ্রেস, (৩)হাটেবাজারে এক্সপ্রেস। কিন্তু দুঃখের বিষয় ওই তিনটি ট্রেনের কোনওটিরই স্টপেজ নেই ধুলিয়ান গঙ্গা স্টেশনে। অনুরোধ, ধুলিয়ান গঙ্গা স্টেশনে ওই তিনটি ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া হোক। |
সংখালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমার লোকজন উন্নত রেল পরিষেবা থেকে আজও বঞ্চিত। দিনের বেলায় জঙ্গিপুর রোড স্টেশন হয়ে কলকাতা যাওয়ার একটি মাত্র ট্রেন। মালদা -হাওড়াগামী ইন্টার সিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি সপ্তাহে ৬ দিন চলে। অথচ রামপুরহাট লাইনে ইন্টার সিটি এক্সপ্রেস সপ্তাহে ৭ দিন চলে। ওই ট্রেনের কামরার সংখ্যা ১৮টি। অথচ মালদা -হাওড়া ইন্টার সিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটির কামরা সংখ্যা ১০টি। যাত্রীর চাপ প্রচণ্ড থাকায় সংরক্ষিত কামরায় ১৫ দিন আগেও টিকিট পাওয়া যায় না। ফলে অংসরক্ষিত কামরায় অনেক সময় বাধ্য হয়ে যেতে হয়। তখন ওই সব নাচার যাত্রীদের কাটোয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে যেতে হয়। ২০১১ সালের রেল বাজেটে একটি নতুন ট্রেন চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়। যার রুট জঙ্গিপুর -শিয়ালদহ। কিন্তু সেটি আজও চালু করা হল না। |
খবরে প্রকাশ বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের জন্য এম সি আই অনুমোদন দেয়নি। ওই সংবাদ শুনে মুর্শিদাবাদ জেলার অগুন্তি মানুষের সঙ্গে আমিও মর্মাহত, উদ্বিগ্ন ও আশাহত। কারণ, অবহেলিত এই মুশির্দাবাদ জেলায় একটি মিডিক্যাল কলেজ খুবই প্রয়োজন। প্রায় সব রকমের পরিকাঠামো সত্ত্বেও স্রেফ তদারকির অভাবে এ বার বহরমপুরে ওই মেডিক্যাল কলেজ চালু হচ্ছে না বলে শোনা যাচ্ছে। রাজ্যের সাংসদ, তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তো বহরমপুর শহরের ভূমিপুত্র। তাই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য পূত দফতররে প্রতিমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও বহরমপুর শহরের ভূমিপুত্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ও এ জেলার সাংসদ। আবেদন, চলতি শিক্ষাবর্ষেই যাতে বহরমপুরে ‘মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ’-এর পঠনপাঠন চালু করা যায় তার ব্যবস্থা করুন। |
বেশ কয়েক মাস ধরে নদিয়া জেলার বাদকুল্লা, কৃষ্ণনগর ও নবদ্বীপ -সহ বিভিন্ন শহরে পঞ্চাশ পয়সার বেশ কয়েক মাস ধরে আকাল দেখা দিয়েছে। এর আগে একই রকম ভাবে ২৫ পয়সার খুব আকাল দেখা দিয়েছিল। তার পর কিছু দিন হল সরকার থকে ২৫ পয়সায় বাতিল করে দেওয়া হয়। তবে কি এ বার ৫০ পয়সা বাতিল হতে চলেছে। অথচ সাধারণ মানুষের কাছে আজও ৫০ পয়সার যথেষ্ট মূল্য রয়েছে। বাজারে, হাটে আজও ৫০ পয়সার মূল্য রয়েছে। এ কারণে সরকারের কাছে অনুরোধ, ৫০ পয়সার আকাল কাটিয়ে আমজনতার সুরাহা করুন। |
আমি মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের মোমিনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। মোমিনাবাদ ও লাগোয়া খোজারডাঙা গ্রাম দু’টি রাস্তা এতটাই বেহাল যে খালি পায়ে যাওয়া খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার। ওই বেহাল রাস্তা দিয়ে সাইকেল ও মোটর বাইকে যাতায়াত করা যায় না। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, দ্রুত ওই রাস্তাটি চলাচলের যোগ্য করে গড়ে তুলুন। |