কী নেই কী চাই

উত্তর

বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যাও বাড়ছে। তাঁদেরও ট্রামে-বাসে যাতায়াত করতে হয়। কিছু সংখ্যক ট্রামে একটি সিনিয়র সিটিজেন আসন থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা কম। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, অধিকাংশ বাসে সিনিয়র সিটিজেন সিট নেই। থাকলেও খুব কম। করিডরের রড ধরে প্রবীণ-প্রবীণাদের যাতায়াত বেশ কষ্টসাধ্য। ঝাঁকুনি বা ব্রেক কষার সময় বাসের ভিতরে পড়ে গিয়ে ক্ষেত্রবিশেষে আঘাত লাগে। সিটে বসা যাত্রীদের বিরক্তির কারণও হতে পারে। তাই প্রবীণ নাগরিকদের স্বার্থে ট্রাম এবং সর্ব স্তরের নতুন পুরনো বাস-মিনিবাসে সিনিয়র সিটিজেন্স সিট রাখা বাধ্যতামূলক করা হোক। প্রবীণ মানুষদের সম্মানের সঙ্গে ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হোক। সুষ্ঠু ভাবে চলাফেরা মানুষের মৌলিক অধিকার। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পরিবহণ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আড়িয়াদহ-বেলঘরিয়া এলাকার সঙ্গে বি টি রোডের সংযোগকারী রথতলা মোড়। বহু সাধারণ মানুষ ও বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এই মোড় দিয়ে যাতায়াত করেন। তাড়াতাড়ি এই মোড় পেরনোর ফলে অনেক দুর্ঘটনাও ঘটে। এই মোড়ে দ্রুত ট্রাফিক সিগনালের ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাই।
রাত ন’টার পরে বিধান সরণি ও মহাত্মা গাঁধী রোডের সংযোগস্থলে কোনও ট্রাফিক পুলিশ থাকে না। রাত যত বাড়ে যান চলাচল ততই বেপরোয়া হয়ে ওঠে। নির্মীয়মান কলেজ স্ট্রিট মার্কেটের সামনে আখ-বোঝাই প্রচুর গাড়ি দাঁড় করানো হয়। রাত দশটার পরে ওই আখ ট্রামলাইনকে ছুঁয়ে যায়। রাত্রে ওই চত্বর যান চলাচল, হাঁটাচলার অযোগ্য হয়ে ওঠে। শ্যামবাজার থেকে বিধান সরণি হয়ে যাঁরা ওই সময়ে ধর্মতলার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করবেন, যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। এই অসহনীয় পরিস্থিতির অবসান প্রয়োজন। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।

দক্ষিণ

আমি বিভিন্ন ঠিকানায় মানি অর্ডার পাঠাই। বর্তমানে যে মানি অর্ডার ফর্ম পূরণ করা হয়, তাতে কী উদ্দেশ্যে টাকা পাঠানো হচ্ছে তা প্রাপক বুঝতে পারছে না বা বোঝার কোনও ব্যবস্থা নেই। সেই হেতু প্রেরক এবং প্রাপক যাতে উভয়েই জানতে বা বুঝতে পারে সেই রকম কোনও সুব্যবস্থার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ডায়মন্ডহারবার রোডের পুষ্পশ্রী সিনেমা হল থেকে শীলপাড়া মোড় পর্যন্ত ফুটপাথে বেশ কয়েকটি উঁচু ম্যানহোলের কংক্রিট ঢাকনার জন্য চলার পথে সকলকেই বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ উঁচু ঢিবিগুলোর একটা বিকল্প ব্যবস্থা করুন।
সরশুনা উপনগরীতে কয়েকটি নতুন পার্ক তৈরি হয়েছে। ‘কলধ্বনি’, ‘শ্যামলী’, ‘গোধূলি’, ‘জগদীশ বসু উদ্যান’ ইত্যাদি। এই সব উদ্যানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কলকাতা পুরসভা কোনও সবেতন কর্মচারী নিযুক্ত করেনি। পার্কগুলির অবস্থা শোচনীয়, বসার আসনগুলিও নোংরা। জঞ্জালের বাক্সগুলি নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। বর্ষায় জলে আরও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পুর কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ অবিলম্বে এর প্রতিকার করুন।

পূর্ব

রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে চিড়িয়ামোড় অঞ্চলে ঠাকুরপুকুর। পুরো অঞ্চলে এখন প্রচুর বহুতল আবাসন। জনসংখ্যার সঙ্গে বেড়েছে বারোয়ারি পুজো। প্রতি বছর এই পুকুরে অনধিক ২০টির মতো দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জন হয়। অন্যান্য প্রতিমা তো আছেই। সারা বছর ধরে পুকুরে প্রতিমার খড়-কাঠামো ভাসতে ভাসতে এক সময় পচে যায়। পুকুরের ধারেও পড়ে থাকে আবর্জনা। আগে মন্দিরের কাজে এই জল ব্যবহার করা হত। কিন্তু জল নোংরা হয়ে যাওয়ায় এখন আর ব্যবহার হয় না। শীতলা পুজো উপলক্ষে প্রচুর মানুষ দণ্ডি কেটে পুকুরে স্নান করেন। কিছু দিন পরে তাঁদের গায়ে চর্মরোগ দেখা দেয়। পুকুরের মালিক ও কাউন্সিলর এই পুকুর সংস্কারে উদাসীন। আমরা চাই আবর্জনামুক্ত পুকুর ও একটি ঘাট।

আমাদের লিখুন আপনার পাড়ার নাগরিক সমস্যা জানিয়ে
অনধিক ১৫০ শব্দে লিখে পাঠান। ঠিকানা:
কী নেই কী চাই,
কলকাতা উত্তর/ দক্ষিণ/ পুর্ব,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১।

আপনার নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর অবশ্যই লিখবেন।

Previous Item

Kolkata

Next Item




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.