টুকরো খবর
|
গাছ কেটে পালানোর সময় লরি আটক জয়পুরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • জয়পুর |
অরণ্য সপ্তাহ সদ্য শেষ হয়েছে। জেলা জুড়ে বৃক্ষ নিধন না করার আবেদন করেছে বন দফতর। সে-সব তোয়াক্কা না করে বাঁকুড়ার জয়পুর রেঞ্জের আধকাটা বিটের গভীর জঙ্গলে বৃহস্পতিবার রাতে কাটা হয়ে গেল পরের পর আকাশমণি গাছ। গাছ কাটার শব্দ শুনেও চোরা চালানকারীদের অস্ত্রের ভয়ে জঙ্গলে ঢুকতে পারলেন না স্থানীয় জগন্নাথপুর ও বালিগুমা বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা। শুক্রবার ভোরে লরি ভর্তি করে পালাচ্ছিল চোরাচালানকারীরা। সাহসে ভর দিয়ে একটি লরি আটকাতে পেরেছেন বন সুরক্ষা কমিটির লোকজন। |
|
ছবি: শুভ্র মিত্র। |
ওই দুই কমিটির সদস্য শিবরাম সর্দার ও আফসার মণ্ডল বলেন, “আমাদের হাতে অস্ত্র নেই। ওদের দিক থেকে যে কোনও মুহূর্তে গুলি ছুটে আসতে পারে। তাই জঙ্গলের ভিতরে না ঢুকে রাস্তা আগলে বসে থেকে একটি লরিকে শেষ পর্যন্ত আমরা হাতে নাতে ধরে ফেলি।” ওই লরিতে ৩০টি আকাশমণি কাটা গাছ ছিল বলে তাঁরা জানান। জয়পুরের রেঞ্জ অফিসার স্বপন ঘটক বলেন, “চোরাচালানকারীরা স্থানীয় বলেই আমরা জানতে পেরেছি। আটক লরির চালক রহমত মল্লিককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।” ওই চালকের কাছ থেকে এলাকার কয়েক জন কাঠ মাফিয়ার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে স্বপনবাবুর দাবি। তিনি বলেন, “চোরাই গাছ ভর্তি অন্য লরিটি নিয়ে ওরা পালিয়ে গিয়েছে। সেটি ধরার চেষ্টা চলছে।” চোরাই কাঠ উদ্ধারে বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করেছে বন দফতর।
|
বাঁকাদহে দুই দাঁতালের হানা
নিজস্ব সংবাদদাতা• বিষ্ণুপুর |
সোনামুখী থেকে বিষ্ণুপুরে বাঁকাদহ বনাঞ্চল লাগোয়া মড়ার গ্রামে ঢুকে এক দাঁতাল লুঠ করল মুদির দোকান। অন্যদিকে গড়বেতা থেকে একই এলাকার কুর্চিবনি গ্রামে ঢুকে তিনটি বাড়ি ভাঙল অন্য এক দাঁতাল। একই রাতে দুই দাঁতালের হামলার ঘটনার ঘটেছে বৃহস্পতিবার। মড়ারে দোকানের সার্টার ভেঙে তছনছ হয়েছে অরুন টিকাদারের মুদির দোকান। তিনি বলেন, “গ্রামবাসীরা জেগেও ওই হাতির হামলা ঠেকানো যায়নি। একই বক্তব্য, কুর্চিবনি গ্রামের সনাতন হেমব্রম, লক্ষ্মীমনি হাঁসদা ও সুনীল হেমব্রমদের। তাঁরা জানান, গ্রামবাসীরা জেগে উঠে তাড়াবার চেষ্টা করলেও হাতিটিকে ভয় পাওয়ানো যায়নি। সকলের সামনে আমাদের তিনটি মাটির বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে ধান চাল বের করে খেয়ে রাজার হালে হেলতে দুলতে জঙ্গলে ঢুকেছে এদিন ভোরে। বাঁকাদহের রেঞ্জ অফিসার বলাই ঘোষ বলেন, “ওই দুটি হাতি সোনামুখী ও গড়বেতা থেকে ঢুকে বৃহস্পতিবার রাতেই হামলা শুরু করেছে। এই এলাকায় চলছে আরও ১১টি হাতির নিয়মিত তাণ্ডব। আমরাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠছি।” তাঁর চিন্তা, জঙ্গলে খাবার নেই। সে কারণে লোকালয়ে ঢুকে ঘর ভাঙছে হাতিরা। তবে, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
|
গাছের চারা বিতরণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • উত্তরপাড়া |
প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে গাছ বিতরণ করল হুগলির উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভা। পুরসভার চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল দিলীপ যাদবের উদ্যোগে ওই কর্মসূচি পালিত হয়। এলাকার সাধারণ মানুষ ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল, সংগঠনকে ন’শোটিরও বেশি গাছের চারা বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রধান অদিতি কুণ্ডু। গাছ পরিচর্যার ব্যাপারে একটি আবেদনপত্রও বিলি করা হয় উদ্যোক্তাদের তরফে। দিলীপবাবু বলেন, “গাছ লাগানোর পাশাপাশি প্লাস্টিকের জিনিস বর্জনের ব্যাপারেও আমরা মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছি।”
|
বাঘের হানায় আতঙ্ক গ্রামে
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং |
বাঘের হানায় আতঙ্ক ছড়াল গ্রামে। শুক্রবার ভোরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় পীরখালি জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বিদ্যাধরী নদী সাঁতরে বালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরাখণ্ড গ্রামে ঢুকে পনে বলে বন দফতর সূত্রে জানানো হয়। শ্যামাপদ বর নামে এক গ্রামবাসীর গোয়ালে ঢুকে একটি ছাগলও মারে সে। গ্রামবাসীদের চিৎকারে সে নদীর দিকে পালিয়ে যায়। অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিল্ড ডিরেক্টর অঞ্জন গুহ বলেন, “একটি বাঘ গ্রামে ঢুকে পড়েছিল। খবর পেয়ে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। বাঘের পায়ের চাপ অনুসরণ করে অনুমান করা হচ্ছে সেটি নদী সাঁতরে জঙ্গলেই ফিরে গিয়েছে। তবে গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”
|
|
প্রেম দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানায় ছবিটি তুলেছেন রাজা বন্দোপাধ্যায়।
|
|
যুদ্ধ জলপাইগুড়ি জেলার লাটাগুড়ি প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্রে ছবিটি তুলেছেন দীপঙ্কর ঘটক। |
|
|