কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। দেশের উপ-প্রধানমন্ত্রীও হয়েছিলেন। পরে হন বিরোধী দলনেতা। স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য হন ইউপিএ-র প্রথম দফাতেই। তখন সুষমা স্বরাজ ছিলেন সেই কমিটির চেয়ারপার্সন। কিন্তু কোনও বৈঠকেই যেতেন না লালকৃষ্ণ আডবাণী। স্ট্যান্ডিং কমিটির সব রিপোর্ট সুষমা তাঁর বাড়িতে দিয়ে যেতেন। বৈঠকে কী হল তাও জানাতেন। এখন ইউপিএ-র দ্বিতীয় ইনিংসে সুষমা বিরোধী দলনেত্রী। স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রধান হয়েছেন বেঙ্কাইয়া নায়ডু। আর আডবাণীর কাজকর্ম এখন অনেক কম। ব্লগ লেখেন আর বক্তৃতা দেন। কিন্তু বেঙ্কাইয়ার উৎসাহে নিয়মিত স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে শুরু করেছেন। এমনকী কিছু দিন আগে কমিটির সব সদস্যকে নিয়ে বেঙ্কাইয়া গেলেন হায়দরাবাদে ন্যাশনাল পুলিশ অ্যাকাডেমিতে। আডবাণী সেখানেও প্রায় পিকনিকের মেজাজে কাটালেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম শুক্রবার বিজ্ঞানভবনে জাতীয় সম্প্রীতি সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে তাঁকে ফোন করে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। চিদম্বরমের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের অহি-নকুল কিছুটা অভিনবই। কিন্তু সেখানেও উপস্থিত আডবাণী। দিল্লির দরবারে প্রশ্ন, প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের মনে কি ফের রাজনৈতিক ভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠার বাসনা জেগেছে?
|
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই জয়রাম রমেশ পশ্চিমবঙ্গের জমি কমিটির অন্যতম সদস্য দেবব্রত বন্দ্যেপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সখ্যতা বাড়িয়ে চলেছেন। জানাচ্ছেন, ‘দেবুদা’-র সঙ্গে এই সখ্যতা এক দিনে তৈরি হয়নি। প্রায় পঁচিশ বছরের পুরনো সম্পর্ক তাঁদের। ১৯৮৭ সালের সেপ্টেম্বরে দেবব্রতবাবু যখন নয়াদিল্লিতে চূড়ান্ত ব্যস্ত এক জন আমলা, তখন তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধী স্যাম পিত্রোদা ও তরুণ জয়রামকে নির্দেশ দেন দেবব্রতবাবুর সঙ্গে বসতে। দেবব্রতবাবু তখন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব। রাজীবের নির্দেশ ছিল, টেলিকম ব্যবস্থাকে গোটা দেশে ছড়িয়ে দিতে দেবব্রতবাবুর সহায়তা প্রয়োজন। সেই প্রথম আলাপ। পরে ২০০৫ সালে কলকাতায় জয়রামের লেখা ‘চিন্ডিয়া’ বইটির উদ্বোধনও করেন দেবব্রতবাবু। জয়রামের শ্বশুরমশাই যোজনা কমিশনের উপদেষ্টা কে ভি রামানাথনের সঙ্গেও মিত্রতা ছিল দেবব্রতবাবুর। জমিবিল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে কেন্দ্রের যোগাযোগের সেতু হিসাবে এই মিত্রতা তাই কাজ করছে অন্তরালে।
|
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্প্রতি একটি চিঠি পাঠান ডেনমার্কের সাম্মানিক কনসাল স্মিতা বাজোরিয়া। ওই চিঠিতে বলা হয়, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মমতার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকারে আগ্রহী। অতীতে এক বার বুদ্ধবাবুর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত। প্রায় তিন-চার মাস পরে সেই চিঠির উত্তর যায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে। এ বারও তেমন সময়ই লাগবে বলে ভেবেছিলেন ওই কনসাল। কিন্তু পরের দিনই ফোন যায় কনসালের কাছে, কবে আসতে পারবেন রাষ্ট্রদূত? মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তৎক্ষণাৎ উত্তরে কার্যত হতবাক ওই কনসাল। কিন্তু রাষ্ট্রদূত দেশের বাইরে। ফলে লজ্জিত কনসাল ক্ষমা চেয়ে বলেন, রাষ্ট্রদূত এখন দেশের বাইরে। ফিরলেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে মমতার নীতিই হল, রাষ্ট্রদূতেরা বিদেশের প্রতিনিধি। তাই তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়াটাই সৌজন্য।
|
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস ঘরের একটি দেওয়ালে নোনা ধরে রয়েছে। তাঁরই মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব শকুন্তলা দোলে গামলিন সুদীপের সঙ্গে বৈঠক করতে এসে দেওয়াল দেখে লজ্জিত। বললেন, শীঘ্রই এর মেরামতির ব্যবস্থা করবেন তিনি। আলাপচারিতায় সুদীপবাবু অসমের এই কন্যাটির কাছে জানতে চাইলেন, তিনি কোথায় থাকেন? শকুন্তলা জানান, তাঁর শ্বশুরবাড়ি অরুণাচলপ্রদেশে। তাই প্রতি সপ্তাহে যাওয়া হয় না। সুদীপ জানতে চান, তাঁর স্বামীও নিশ্চয়ই আমলা? পোস্টিং কি দূরে? মৃদু হেসে শকুন্তলা বলেন, না, আমলা নন। যদিও তাঁর স্বামী খুবই ব্যস্ত। তিনি অরুণাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জারবম গামলিন! শুনে বাক্যহারা সুদীপ!
|