এ বার সস্তায় কয়লা কেনার অধিকার চাইছে সিইএসসি
মাত্র এক বছরে ইস্টার্ন কোলফিল্ডস (ইসিএল)-এর ‘বি গ্রেড’ কয়লার দাম বেড়েছে ১০০ শতাংশ। ফলে কলকাতায় বিদ্যুৎ মাসুলও বাড়ছে হু হু করে। চাপ বাড়ছে গ্রাহকদের উপর। এই সঙ্কট থেকে বেরোতে ইসিএল-এর থেকে আর কয়লা কিনতে চায় না সিইএসসি। শুক্রবার সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভায় ভাইস চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়েন্কা জানান, হয় কয়লার দাম কমানো হোক, নয়তো অন্য সংস্থা থেকে সিইএসসি-কে কয়লা সরবরাহের ব্যবস্থা করুক কোল ইন্ডিয়া।
পরিসংখ্যান পেশ করে গোয়েন্কা জানান, আগে এই মানের কয়লার দাম ছিল টনে ২,৮০১ টাকা। এক বছর কাটতে না কাটতেই তা বেড়ে হয়েছে ৫,৫৮৪ টাকা। এর ফলে কিছু দিন আগেই জ্বালানি শুল্ক বাবদ বিদ্যুৎ মাসুল বাড়াতে হয়েছে ইউনিট-প্রতি ৪৬ পয়সা। তাঁর দাবি, কিছু দিনের মধ্যেই আবার বাড়তে চলেছে কয়লার দাম। তখন ফের বাড়বে জ্বালানি শুল্ক। এ ছাড়া, সিইএসসি তাদের নিজস্ব খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণেও বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছে মাসুল বাড়ানোর আর্জি জমা দিয়েছে। সব মিলিয়ে কয়েক মাসের মধ্যেই গড় মাসুল ইউনিট প্রতি ছ’টাকা পেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা।
বস্তুত চলতি ২০১১-’১২ আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে তেমন ভাবে গরম না-পড়ায় ও দ্রুত বর্ষা নেমে যাওয়ায় সংস্থার বিদ্যুৎ বিক্রি মাত্র ছয় শতাংশ বেড়েছে বলে জানান সিইএসসি কর্তা। যেখানে গত বছরের এপ্রিল থেকে জুন, এই তিন মাসের বিক্রি ছিল ১,০৮২ কোটি টাকার। সেখানে এ বার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,১৬৯ কোটিতে। নিট লাভ ১১০ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ১১১ কোটি। কেননা কয়লা কেনার ব্যয়ই বেড়ে গিয়েছে ৮৪ কোটি টাকা।
এ দিকে, ‘সিঙ্গাপুর পাওয়ার’-এর পরামর্শ অনুযায়ী ব্যাপক ভাবে আগাম মেরামতির কাজ হাতে নেওয়ার ফলে এই গ্রীষ্মে বণ্টন লাইনের ‘ফল্ট’ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে বলে দাবি গোয়েন্কার। প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থা উন্নত করতে সিঙ্গাপুরের এই বণ্টন সংস্থাটির পরামর্শ নেয় সিইএসসি।
আগামী সেপ্টেম্বরে সিইএসসি-র ৬০০ মেগাওয়াটের হলদিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পের সূচনা হওয়ার কথাও এ দিন ঘোষণা করেছেন গোয়েন্কা। তার পর প্রথম ৩০০ মেগাওয়াটের ইউনিটটি চালু হওয়ার কথা ২০১৪-এর সেপ্টেম্বরে।
গুজরাতে সংস্থার প্রথম ৯ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পটির পাশাপাশি রাজস্থানে দু’টি ২৫ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পও হাতে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্কা। পাশাপাশি তাঁর ইঙ্গিত, রাজ্যে পাইপের গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে সিইএসসি-র বন্ধ হয়ে যাওয়া মুলাজোড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমিতে গ্যাস-ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলা যেতে পারে।
অন্য দিকে, ‘স্পেনসার্স’ বিপণিগুচ্ছ এখনও লোকসানে চলছে, জানান গোয়েন্কা। তবে বিক্রি ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং বছর দেড়েকের মধ্যেই লাভের মুখ দেখবে বলেও আশা তাঁর।
First Page Business Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.