|
|
|
|
চণ্ডীপুরেও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
পঞ্চায়েত সমিতির কাজে দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে। কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ ও ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ‘অনৈতিক কাজে’ মদতের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার চণ্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি, কৃষি-সেচ, মৎস্য-প্রাণিসম্পদ, নারী-শিশু কল্যাণ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ-সহ ১০ জন তৃণমূল সদস্য সমিতির পদাধিকার ত্যাগ করতে চেয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন দলের ব্লক সভাপতি অশ্বিনী দাসের কাছে। বিব্রত তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন এই ঘটনাকে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আর ব্লক সভাপতি অশ্বিনীবাবু বলেন, “দলের কাছে ওঁরা পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। প্রশাসনিক স্তরে দেননি। তা ছাড়া দল ছাড়ার কথাও বলেননি। শনিবার বৈঠক করব আমরা।” |
|
পদত্যাগপত্র দেওয়ার পরে। |
নন্দীগ্রাম লাগোয়া চণ্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির ২৭ জন সদস্যের মধ্যে ১৮ জন তৃণমূল, ১ জন বিজেপি ও ৮ জন বামফ্রন্টের। এর মধ্যে তৃণমূলের এক সদস্য মারা গিয়েছেন। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অমিয় ভট্টাচার্য ও ব্লক সভাপতি অশ্বিনী দাসের বিরোধী গোষ্ঠীর লোক হিসাবে পরিচিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়দেব মিদ্দা। সম্প্রতি পঞ্চায়েত সমিতির কাজে ঠিকাদার নথিভুক্ত করা নিয়ে এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। জয়দেববাবুর অভিযোগ, “ব্লক নেতৃত্ব এবং কয়েকজন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অনৈতিক ভাবে ঠিকাদার নথিভুক্ত করতে চেয়েছিলেন। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। দলীয় নেতৃত্বের কাছে একাধিক বার অভিযোগ জানিয়েও প্রতিকার না হওয়ায় সভাপতি পদ থেকে সরতে চেয়েছি। দল এই পদে মনোনয়ন দিয়েছিল। তাই দলীয় নেতৃত্বের কাছেই পদত্যাগপত্র দিয়েছি।” |
|
|
|
|
|