|
|
|
|
সাহা ইনস্টিটিউটের সিনক্রোট্রন |
|
রাজ্যের আশ্বাসপত্র মিলবে
কবে, অনিশ্চিত মহা প্রকল্প
মিলন দত্ত • কলকাতা |
|
জমি চাই। চাই বিদ্যুৎ। আর এগুলো যে পাওয়া যাবে, সে ব্যাপারে চাই রাজ্য সরকারের লিখিত আশ্বাস।
কিন্তু সেই আশ্বাস এখনও না-পাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে প্রস্তাবিত একটি অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রকল্প ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এমনকী, আরও দেরি হলে ছ’হাজার কোটি টাকার কেন্দ্রীয় প্রকল্পটি অন্য রাজ্যে চলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
প্রকল্পের নাম ‘ইন্ডিয়ান সিনক্রোট্রন ফর মেটেরিয়াল অ্যান্ড এনার্জি রিসার্চ।’ কলকাতার ‘সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স’কে এটি রূপায়ণের দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় পরমাণু-শক্তি মন্ত্রক। এ জন্য জার্মানির হামবুর্গের এক সংস্থার সঙ্গে সাহা ইনস্টিটিউটের চুক্তি হয়ে গিয়েছে। তার আগেই অবশ্য প্রকল্পে রাজ্যের সমর্থনপত্র চেয়ে নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা মিলনকুমার সান্যাল। দু’মাসেও কোনও লিখিত জবাব তিনি পাননি। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থনপত্র যোজনা কমিশনে জমা না-দিলে প্রকল্পে চূড়ান্ত ছাড়পত্র মিলবে না।
প্রকল্পটির বিশেষত্ব কী?
মিলনবাবু জানিয়েছেন, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় প্রজন্মের এমন সিনক্রোট্রন ভারতে আগে বসেনি। এটি আছে মাত্র চারটে দেশে আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি ও জাপানে। এর দৌলতে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীব-বিজ্ঞান, বিশেষত ন্যানো টেকনোলজি সংক্রান্ত গবেষণা কলকাতায় বসেই করা যাবে। নমুনা নষ্ট না-করেও জানা যাবে বস্তুর পুঙ্খানুপুঙ্খ আণবিক গঠন। তাঁর কথায়, “এতে দেশের পরমাণু-গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে যেতে পারে। ফিরিয়ে আনা যেতে পারে বিদেশমুখী মেধাবী বিজ্ঞানী-গবেষকদেরও।”
এবং এই বিশাল কর্মোদ্যোগে তাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে পরিকাঠামোগত কিছু সহায়তা চাইছেন। মিলনবাবু জানিয়েছেন, তাঁদের দরকার দু’শো একর জমি আর ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের অবিচ্ছিন্ন সরবরাহ। জমি তাঁরা বাজারদরেই কিনে নেবেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় প্রকল্পে জমির আশ্বাসপত্র রাজ্য সরকারকেই দিতে হবে। তিনি বলেন, “এখানে গবেষণার কাজে বহু দেশের বহু গবেষক-বিজ্ঞানী নিত্য আসা-যাওয়া করবেন। তাই জমিটা অবশ্যই এমন জায়গায় হতে হবে, যেখানে বিমানবন্দর থেকে সহজে যাতায়াত করা যায়।”
সবটাই এখন নির্ভর করছে রাজ্য সরকারের উপরে। অধিকর্তার বক্তব্য, সরকারের লিখিত প্রতিশ্রুতি বা সমর্থনপত্র দিল্লিতে জমা দিতে না-পারলে অন্য রাজ্য সুযোগটা নিতে ঝাঁপিয়ে পড়বে। বেঙ্গালুরুর ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স’ ইতিমধ্যে ওই সিনক্রোট্রন বসাতে চেয়ে যোজনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। সঙ্গে দিয়েছে কর্নাটক সরকারের তরফে জমি-বিদ্যুৎ জোগানোর লিখিত আশ্বাস। ফলে দৌড়ে বেঙ্গালুরুও রয়েছে। যদিও অধিকর্তার দাবি: সম্প্রতি দিল্লির এক বৈঠকে তাঁরা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, এমন বৃহৎ প্রকল্প গড়ে তুলতে সাহা ইনস্টিটিউটের অভিজ্ঞতা ও পরিকাঠামো অনেক বেশি উন্নত।
কাজেই, আশা এখনও আছে। শুধু দরকার অবিলম্বে রাজ্য সরকারের আশ্বাস।
|
শনির ‘জল-রহস্য’ সমাধানের দাবি |
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
শনির বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতির ‘রহস্যভেদ’ করা গিয়েছে বলে দাবি করলেন জার্মানির ‘ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর সোলার সিস্টেম রিসার্চ’-এর বিজ্ঞানীরা। গবেষণাকেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, শনির উপগ্রহ এনসেলাডাস এই জলের উৎস। সম্পূর্ণ বরফে ঢাকা এই উপগ্রহটির দক্ষিণ মেরু থেকে তীব্র বেগে জলীয়বাষ্প বেরোয়। সেই বাষ্পই শনির বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। গবেষকদলের প্রধান পল হারটোঘের মতে, দু’টি কারণে বিষয়টিকে বেনজির বলা চলে। প্রথমত, গ্রহের রাসায়নিক গঠনের উপরে উপগ্রহের এই রকম প্রভাব এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। দ্বিতীয়ত, মহাশূন্য থেকে গ্রহের বায়ুমণ্ডলে জলীয়বাষ্প প্রবেশ করার ঘটনাও শনি ছাড়া অন্য কোনও গ্রহের ক্ষেত্রে জানা যায়নি। |
|
|
|
|
|