|
|
|
|
নয়ছয়ের নালিশ, পদত্যাগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা• ফালাকাটা |
পুকুর কাটা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগের জেরে ফালাকাটা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্যা সিপিএমের কৃষ্ণা ঘোষ-সহ উন্নয়ন কমিটির কয়েকজন সদস্য পদত্যাগ করলেন। বুধবার ফালাকাটা বিডিও’র কাছে মসল্লাপট্টি পাড়ার ওই পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দেন। বিডিও সুশান্ত মন্ডল বলেন, “শারীরিক কারণ দেখিয়ে তাঁরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।” বিধানসভা নির্বাচনের আগে একশো দিন প্রকল্পে ৭ লক্ষ টাকা খরচ করে গ্রাম পঞ্চায়েতের ফালাকাটা থানা চত্বরে পুকুর কাটার সিদ্ধান্ত হয়। কয়েকদিনের মধ্যে সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ২৩ জুলাই গ্রাম সংসদে পুকুর কাটায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানানো হলে এলাকার বাসিন্দারা পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। ৪ ঘণ্টা পঞ্চায়েত সদস্যা কৃষ্ণা ঘোষকে আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ব্লক প্রশাসনের তদন্তে জানা যায় পঞ্চায়েতের সচিবের ভুলে ওই বিভ্রান্তি ছড়ায়। মঙ্গলবার ফের গ্রাম সংসদের সভায় পুকুর কাটার কাজে ৭৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানানো হয়। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়, ৭৭ হাজার টাকার সিকি ভাগও খরচ হয়নি। এই ব্যাপারে ফালাকাটা থানায় পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তৃণমূল নেতা গদাই দে বলেন, “পুকুর কাটার কাজে ৭ হাজার টাকাও খরচ করা হয়নি। টাকা আত্মসাৎ করে পিঠ বাঁচাতে পঞ্চায়েত সদস্যা ও সিপিএমের উন্নয়ন কমিটির সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন। দ্রুত তদন্ত করে শাস্তি দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন চালাব।” এ দিন ফালাকাটা ২ পঞ্চায়েতের এক সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্যও পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে বিডিও জানান। তিনি বলেন, “দ্রুত তদন্ত শুরু করব।” সিপিএমের জেলা নেতা নিতাইকৃষ্ণ পাল বলেন, “যে ভাবে ওই পঞ্চায়েত সদস্যর বিরুদ্ধে তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ তুলছে তা মানা যায় না।” |
|
|
|
|
|