|
|
|
|
স্বাক্ষর নকল করে প্রতারণা |
সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ ক্রেতা সুরক্ষার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
শুল্ক দফতরের অবসরপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্টের স্ত্রীর সই জাল করে পোস্ট অফিস থেকে ৫ লক্ষ ৪ হাজার টাকা তুলে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় মালদহ প্রধান ডাকঘরের সুপারিনটেনডেন্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট, পোস্টমাস্টার, এক সাব পোষ্টমাস্টার-সহ পোস্ট মাস্টার জেনারেল (শিলিগুড়ি), চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেলকে (কলকাতা) প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল মালদহ জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। বুধবার মালদহ জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারক অর্জুনপ্রসাদ গুপ্তা, সুমনা দাস, কৃষ্ণপ্রসাদ চট্টোপাধায় এক মাসে ডাক বিভাগের কর্তাকে ক্ষতিপূরণের টাকা শুল্ক দফতরের অবসরপ্রাপ্ত সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও তাঁর স্ত্রীকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এক মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকার পাশাপাশি মানসিক হয়রানির জন এক লক্ষ টাকা, বোনাস ৫০ হাজার টাকা এবং মামলার খরচ বাবদ ৫০০০ টাকা না দিলে অভিযুক্তদের ১০ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ডাক বিভাগের আইনজীবী বিপ্রদাস আচার্য বলেন, “এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব। জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শুল্ক দফতরের অবসরপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট বিচিত্র রায় ও তাঁর স্ত্রী মমতা রায় ২০০১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মালদহ প্রধান ডাক ঘরে ‘মান্থলি ইনকাম স্কিমে’ ৫ লক্ষ ৪ হাজার টাকা জমা করেন। টাকা জমা দেওয়ার পরের মাস থেকে প্রতি মাসে ৪৬২০ টাকা করে নিয়মিত পাচ্ছিলেন। ওই প্রকল্পের মেয়াদ ফুরানোর সময়সীমা ছিল ২০০৭-এর ২৭ ফেব্রয়ারি। এ দিকে যে এজেন্টের মাধমে মমতাদেবী টাকা জমা দেন সেই এজেন্টকে একাধিক ব্যক্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে। বিষয়টি জানার পর মমতা দেবী পোস্ট অফিসে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তাঁর ৫ লক্ষ ৪ হাজার টাকা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সই জাল করে ২০০৫ সালের ২৮ জুলাই পোস্ট অফিস থেকে নগদে তুলে নেওয়া হয়। কী ভাবে তাঁর গচ্ছিত টাকা আত্মসাত হল তা জানতে চেয়ে পোস্ট অফিসে গেলে মমতা দেবীকে জানানো হয় যে তিনিই টাকা তুলেছেন। মমতা দেবী পোস্ট অফিসের কর্তাদের বারবার বলেছিলেন তিনি এক টাকাও তোলেননি। কিন্তু ডাকঘরের কর্তারা তাঁর কোনও কথাই শুনতে চাননি। এর পর মমতা দেবী ও তাঁর স্বামী বিচিত্র রায় ২০০৯ সালের ১২ মে জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মালদহ প্রধান ডাকঘরের সুপারিনটেনডেন্ট-সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালীন ক্রেতা সুরক্ষা আদালত মমতা দেবীর সই সিআইডিতে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল। সিআইডি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে জানায়, যে মমতা দেবীর সই জাল করে টাকা তোলা হয়েছে। |
|
|
|
|
|