|
|
|
|
দার্জিলিঙেই বিদ্যুতের বিল বাকি শত কোটির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার আন্দোলনে দার্জিলিং পাহাড়ে অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি তো যা হওয়ার হয়েছেই। সেই সঙ্গে ওই আন্দোলনের জেরে সেখানে বিদ্যুতের বিল বাকি পড়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকার। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি ওই বকেয়া কী ভাবে আদায় করবে, তার সূত্র দেয়নি রাজ্য সরকার।
২০০৮ সালের এপ্রিলে তাদের আন্দোলনের অঙ্গ হিসেবেই পাহাড়ে বিদ্যুতের বিল বয়কটের ডাক দেয় মোর্চা। বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি বিলের টাকা নেওয়ার অফিসগুলিও। চা-বাগান ও বড় বড় অফিস অবশ্য তার মধ্যেও শিলিগুড়িতে বণ্টন কোম্পানির অফিসে বিলের টাকা জমা দিয়েছে। কিন্তু বয়কট আন্দোলনের সুযোগে বিল মেটানো বন্ধ করে দেন গৃহস্থ, ছোট হোটেল-সহ অন্য গ্রাহকেরা। মোর্চার নেতারা ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছেন, গ্রাহকেরা বকেয়া টাকা দেবেন না। কিন্তু ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে এই টাকা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা নেই। তা হলে বণ্টন কোম্পানিকে বকেয়া টাকা দেবে কে?
সমতলের গ্রাহকদের বেলায় বিল বকেয়া থাকলেই গ্রাহকের বিদ্যুৎ-সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। কিন্তু পরিস্থিতির আরও অবনতির ভয়ে পাহাড়ে লাইন কাটতে বারণ করা হয়েছে বণ্টন কোম্পানিকে। সংস্থা সূত্রে বুধবার বলা হয়েছে, পাহাড়ে বিদ্যুতের বিল নেওয়ার অফিসগুলি ফের খুলেছে। কিন্তু যে-সব কম্পিউটারে বিল নেওয়ার কথা, সেগুলিতে বকেয়া বিল বাদ রেখে চলতি বিলের টাকা নেওয়ার মতো সফ্টওয়্যার নেই। পাহাড়ে মাসে বিদ্যুতের বিল হয় প্রায় চার কোটি টাকার। এর মধ্যে চা-বাগান ও বড় হোটেলগুলির বিল হয় এক কোটি টাকা। বিদ্যুৎকর্তারা জানান, পাহাড়ে বড় অঙ্কের যে-উন্নয়ন প্যাকেজ ঘোষিত হতে চলেছে, তা থেকে বণ্টন কোম্পানির বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হতে পারে। |
|
|
|
|
|