|
|
|
|
প্রাথমিকের ঘর নির্মাণে আর্থিক দুর্নীতির নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা• রাজগঞ্জ |
একটি প্রাথমিক স্কুলের বিরুদ্ধে ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থ ও মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তদন্ত শুরু হয়েছে। রাজগঞ্জ পশ্চিম মণ্ডল শাখার অধীন সন্ন্যাসীকাটা অঞ্চলের ওই আকালুগছ প্রাথমিক স্কুলে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তদন্ত শুরু হয়েছে। রাজগঞ্জ পশ্চিম মণ্ডল শাখার স্কুল পরিদর্শক রাজীব চক্রবর্তী বলেন, “জেলা শিক্ষা দফতরের নির্দেশে ওই তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের পরে জেলা স্কুল দফতরে তার রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।” জেলা স্কুল দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের একটি নতুন ভবনের জন্য এবার বিধানসভা ভোটের আগে ১ লক্ষ ৭০ হাজার বরাদ্দ হয়। গ্রামশিক্ষা কমিটির সভা ডেকে তার কোনও হিসেবপত্র পেশ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। স্কুলের যাবতীয় মেরামত ও আসবাবপত্র কেনার জন্য সাড়ে ১১ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হলেও তারও কোনও হিসেব নেই বলে অভিযোগ। শিক্ষণ উপকরণের জন্য ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ হলেও নিয়ম অনুযায়ী স্কুলের প্রত্যেক শিক্ষকের মধ্যে ৫০০ টাকা করে ভাগ করে দিতে হয়। অভিযোগ, ওই টাকাও শিক্ষকদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়নি। মিড ডে মিলের খরচেরও কোনও হিসেবপত্র নেই বলে অভিযোগ। স্কুলের টিচার্স ইনচার্জ কলিন্দ্রনাথ রায় দাবি করেছেন, “যেখানে হিসেব দেওয়ার দরকার সেখানে হিসেব দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকার একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী কিছু ব্যক্তি উদ্দেশ্যমূলক ওই অভিযোগ করে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। আমি যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত আছি।” গ্রামশিক্ষা কমিটির সভাপতি মহম্মদ সিদ্দিক বলেন, “টিচার্স ইনচার্জের সঙ্গে এই নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি সভা ডেকে হিসেব দেবেন বলে জানিয়েছেন।” গ্রামশিক্ষা কমিটি সদস্য ফতেমা বেগম বলেছেন, “যখন যা টাকা আসে টিচার্স ইনচার্জ সভা ডেকে তা জানালেও কী কাজকর্ম করা হচ্ছে, তা নিয়ে তিনি কোনও সভা ডাকেন না।” কলিনবাবু বলেন, “স্কুলের কিছু মেরামতের কাজ হয়েছে। একটি স্টিলের টেবিল কেনা হয়েছে। একটি স্কুলে টিএলএমের ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। স্কুলের নানা কর্মসূচিতে খরচ হয়েছে। টিএলএমের ২০ হাজার টাকা আমার কাছে রয়েছে। সেটা সহকর্মীদের দিতে চাইলে আমাকে নিয়েই এক সঙ্গে শিক্ষার উপকরণ কিনবেন বলে তাঁরা টাকা নেননি।” |
|
|
|
|
|