টুকরো খবর

পরিষেবার দাবি, বিক্ষোভ
গ্রামের ডাকঘরের দায়িত্বে রয়েছেন। আবার গ্রামের হাইস্কুলের পার্শ্বশিক্ষকও তিনি। ফলে ঠিকমতো পরিষেবা মিলছে না ডাকঘর থেকে। আবার, একই ব্যক্তি কী ভাবে দু’জায়গায় কাজ করেন--এই অভিযোগে ডাকঘরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। পরে, ডাকঘরে তালাও ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে কাশীপুর ব্লকের সোনাথলী গ্রাম পঞ্চায়েতের কালাপাথর গ্রামে। স্থানীয় ও ডাকঘর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৭ সাল থেকে ওই কালাপাথর ডাকঘরে গ্রামীণ ডাকসেবক হিসেবে কাজ করছেন গ্রামেরই যুবক শুভাশিস নায়েক। ২০০৬ সালে তিনি সোনাথলী কালাপাথর হাইস্কুলে পার্শ্বশিক্ষকের কাজ পান। এ দিন গ্রামের বাসিন্দা মহাদেব মুখোপাধ্যায়, শ্রাবণ বাউরি, লাল্টু দে’রা বলেন, “শুভাশিসবাবু ডাকঘরের দায়িত্ব রয়েছেন। অথচ সকালে দু’ঘন্টা কাজ করে স্কুলে চলে যান। অন্য কর্মীরা কাজ করেন না। ডাকঘর থেকে কোনও পরিষেবা তাই গ্রামবাসী পান না।” তাছাড়াও একই ব্যক্তি কীভাবে দু’জায়গায় কাজ করছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা। তবে শুভাশিসবাবু বলেন, “ডাকঘরে আমার মূল কাজ চিঠি বিলি করা। জুনে পোস্টমাস্টার অবসর নেওয়ায় সাময়িক দায়িত্বে আছি।” তাঁর দাবি, “সকালে দু’ঘন্টা কাজ করে স্কুলে যাই। বিকেলে আমি বাকি কাজ করি। ফলে, পরিষেবায় সমস্যা হয় না।” আর একই সঙ্গে দু’জায়গায় কাজ করার ক্ষেত্রে তাঁর যুক্তি, “ডাকঘর ও স্কুল দু’জায়গাতেই আমি চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করি। পুরোদস্তুর সরকারি কর্মী নই। ফলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দু’জায়গায় কাজ করতে সমস্যা নেই।”

ইন্দাসে কলেজে ছাত্র-বিক্ষোভ
প্রত্যেক পড়ুয়াকে বিনামূল্যে যন্ত্রপাতি দেওয়া, পানীয় জল, ক্লাসরুমের সমস্যা দূর করা-সহ চার দফা দাবিতে বুধবার ইন্দাস সিভিল ও সার্ভে কলেজে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই কলেজের ইনচার্জ সৌরভ দাঁ’য়ের কাছে দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। স্থানীয় টিএমসিপি নেতা সিরাজুল হক মল্লিক বলেন, “ওই কলেজে পড়ুয়ার সংখ্যা ১৩৫। কলেজ থেকে তাঁদের বিনামূল্যে পড়াশুনার আনুসঙ্গিক বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দেওয়ার কথা। অথচ তাঁরা এ সব পাচ্ছেন না। পানীয় জল ও ক্লাসরুমের সমস্যাও রয়েছে। এ সব সমস্যা দূর করার দাবিতে এ দিন আমরা বাধ্য হয়ে কলেজে বিক্ষোভ দেখিয়েছি।” টিএমসিপি’র জেলা সহ সভাপতি জামিরুল হোসেনের অভিযোগ, “কলেজের পড়ুয়ারা সরকারি নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পড়াশোনার পরিবেশ ঠিকমতো নেই। কলেজ ইনচার্জকে বারবার বলেও কাজ হয়নি।” কলেজ ইনচার্জ সৌরভ দাঁ সমস্যার কথা মেনে বলেন, “পড়ুয়াদের দাবি ঠিক। কিছু সমস্যা সত্যিই রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে কলেজে পঠনপাঠনের পরিবেশ ঠিকই রয়েছে।”

বধূ হত্যার নালিশ, ধৃত স্বামী-সহ তিন
বধূ হত্যার অভিযোগে স্বামী-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে বান্দোয়ান থানার পুলিশ। মৃত বধূর নাম মিঠু মণ্ডল (২৩)। তাঁর শ্বশুরবাড়ি বান্দোয়ানের মহুলবনা গ্রামে। কেন্দা থানার দরোডি গ্রামের বাসিন্দা মিঠুদেবীর সঙ্গে আড়াই বছর আগে বিয়ে হয় মহুলবনার বাসিন্দা সুধাংশু মণ্ডলের। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে মিঠুদেবীর বাবা অমল মণ্ডল জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে তাঁর মেয়ের উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অত্যাচারের জন্য মিঠুদেবী বেশ কয়েক বার বাপের বাড়িতেও চলে গিয়েছিলেন। অমলবাবু বলেন, “একদিন নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে আচরণ পাল্টাবেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা, এই ভেবে মেয়েকে মুখ বুজে শ্বশুরবাড়িতে থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে এই পরিণতি হবে ভাবতে পারিনি।” তাঁর অভিযোগ, গত ১৭ জুলাই শ্বশুরবাড়িতে মিঠুদেবীর খাবারে বিষ মিশিয়ে দেওয়া হয়। পরের দিন পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ওই বধূর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। তার ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে মৃতার স্বামী সুধাংশু এবং দুই দেওয়ার হিমাংশু ও সদানন্দকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শ্বশুর ও শাশুড়ি পলাতক বলে পুলিশের দাবি।

প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা
সহকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ না করে কাজ করার অভিযোগ তুলে সিপিএমের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন দলেরই ছ’জন পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর ব্লকের বেলশুলিয়া পঞ্চায়েতে। মঙ্গলবার বিকেলে লিখিতভাবে বিষ্ণুপুরের বিডিও-র কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন ওই ছ’জন সদস্য। ঘটনা প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুরের বিডিও সুদীপ্ত সাঁতরা বলেন, “ওই পঞ্চায়েতের ছয় সদস্য দুর্গামণি মান্ডি, রত্না দে, উর্মিলা সর্দার, আদিত্য লোহার, ধনঞ্জয় সর্দার ও মকরন্দ মণ্ডল পঞ্চায়েত প্রধান কলিমোল্লা চৌধুরীর বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, সহকর্মীদের মতামতকে উপেক্ষা করে প্রধান কাজ করছেন।” বিডিও জানান, আগামী ২ অগস্ট ওই পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ সমস্ত সদস্যদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সেই দিন গরিষ্ঠ সংখ্যক সদস্য তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়ালে নতুন প্রধান নির্বাচিত করা হবে। তবে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান কলিমোল্লা চৌধুরীকে টেলিফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্য তথা বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন বিধায়ক স্বপন ঘোষ বলেন, “ঘটনাটি বিস্তারিত জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।”

লোহা চুরি, ধৃত ব্যবসায়ী-সহ ২
রেলের লোহা চুরির অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে আরপিএফ। ধৃতদের নাম সুদামা সাউ ও গৌর মালাকার। সুদামাবাবু পুরুলিয়া শহরের বড় মাপের লোহা ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার রাতে তাঁদের গ্রেফতারের পরে বুধবার রঘুনাথপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতদের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। আরপিএফ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনাড়া থেকে ধরা হয় পুরুলিয়া মফস্সল থানার বেলমা গ্রামের বাসিন্দা, পেশায় ফেরিওয়ালা গৌর মালাকারকে। আরপিএফের আনাড়া থানার ওসি সঞ্জয় হাজরার দাবি, গৌরকে জেরা করে রেলের লোহা চুরি চক্রের হদিস মেলে। সেই সূত্র ধরেই রাতে তল্লাশি চালানো হয় পুরুলিয়ায় সুদামাবাবুর গুদামে। গুদাম থেকে প্রচুর রেলের লোহা ও যন্ত্রাংশ মিলেছে বলে পুলিশের দাবি।

পুড়ে মৃত্যু বধূর
এক অগ্নিদগ্ধ বধূর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার সকালে বীরভূমের কাঁকরতলা থানা এলাকার বড়রা বাউরিপাড়ার একটি বাড়ি থেকে রূপা বাদ্যকর (২১) নামে ওই বধূর দেহ উদ্ধার হয়েছে। এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ রূপেদেবীর বাড়ির ভিতর থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখেন পড়শিরা। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় বাসিন্দারা দরজা ভেঙে দেখেন রূপাদেবী অগ্নিদগ্ধ হয়ে পড়ে আছেন। যে সময় ঘটনাটি ঘটেছে, তখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না। এটা আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু
রেললাইনে কাজ করার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক রেলকর্মীর। তাঁর নাম পরেশ মাহাতো (৫৫)। বাড়ি রঘুনাথপুর থানার দুমদুমি গ্রামে। বুধবার সকাল সওয়া ৮টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে আদ্রা-চাণ্ডিল শাখার নিমডি ও বিরামডি স্টেশনের মাঝে। পরেশবাবু রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাহে ‘কি-ম্যান’ পদে কাজ করতেন। রেল সূত্রের খবর, রোজের মতো এ দিনও তিনি লাইন পরীক্ষার কাজ করছিলেন। আপ লাইনে ছাপরা-টাটানগর এক্সপ্রেসের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়।
Previous Story Purulia Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.