|
|
|
|
স্টেডিয়ামের হাল ফেরানোর আবেদন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
রাজ্য ক্রীড়া দফতর জঙ্গলমহলে ক্রীড়ার মানোন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে, অথচ খোদ ঝাড়গ্রাম শহরের স্টেডিয়ামটি বেহাল, এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে প্রশাসনিক স্তরেও কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার ‘ঝাড়গ্রাম ক্রীড়া বাঁচাও কমিটি’র পক্ষ থেকে মহকুমাশাসক সি মুরুগানের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছেও অভিযোগের প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে।
স্টেডিয়ামটির দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে ‘ঝাড়গ্রাম মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা’। বাম জমানায় এই সংস্থাটি গঠিত হয়। সংগঠনটিতে সিপিএমের লোকজনই সংখ্যা-গরিষ্ঠ। পদাধিকার বলে সংস্থাটির সভাপতি হলেন মহকুমাশাসক। পরিবর্তনের রাজ্যে এ বার মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন পুরবাসীর একাংশ। ক্রীড়া বাঁচাও কমিটির পক্ষে শহরের আইনজীবী অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, ফুটবলার সুদীপ খান, ইন্দ্রজিৎ বসাক-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ৫০ জন নাগরিকের স্বাক্ষর-সম্বলিত অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, কয়েক মাস আগে ঘাসবীজ বপনের জন্য স্টেডিয়ামের মাঠে লাঙল চালানো হয়। অদ্যাবধি ঘাস গজায়নি। মাঠটির অবর্ণনীয় অবস্থা। স্টেডিয়ামের মূল খেলার মাঠে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অনিন্দ্যবাবুদের অভিযোগ, খেলাধুলোর অনুপযোগী হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়ামটি। যার ফলে ঝাড়গ্রামের বার্ষিক ‘ফুটবল লিগ’ও এ বার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ‘ক্রীড়া বাঁচাও কমিটি’র অভিযোগ, স্টেডিয়ামের মাঠে ঘাসবীজ বপনের নামে আর্থিক নয়ছয় হয়েছে। এ ছাড়াও স্টেডিয়ামের ভবন নির্মাণকাজ ও জলের পাইপ লাইনের কাজ অত্যন্ত নিম্নমানের হয়েছে বলে কমিটির অভিযোগ। যদিও মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার একটি সূত্রের দাবি, মাঠে ঘাসবীজ ছড়ানোর পরে স্টেডিয়ামে পর পর দু’টি সরকারি সভা হয়। গত ১২ জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় অনেক লোকজন এসেছিলেন। এর কয়েক দিন পরে যুবকল্যাণ মন্ত্রীর সরকারি সভা হয় একই জায়গায়। ফলে ঘাসের চারা গজানোর সুযোগ হয়নি।
ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসক সি মুরুগান বলেন, “ঘাস গজানোর জন্য কিছুদিন খেলাধুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আমি সরেজমিনে স্টেডিয়াম পরিদর্শনে যাব।” |
|
|
|
|
|