|
|
|
|
বালি তোলা বন্ধে উদ্যোগী স্থানীয়রা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কাঁসাই থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলা বন্ধে ফের সক্রিয় ভূমিকা নিলেন স্থানীয়রা। ক’দিন আগে স্থানীয়দের উদ্যোগেই গাঁধীঘাটে এক সভা হয়। সেখানে পাথরঘাটা, পালবাড়ি প্রভৃতি নদী-সংলগ্ন এলাকার মানুষ অভিযোগ করেন, অবৈধ ভাবে যেখান-সেখান থেকে বালি তোলায় নদীর পাড় ভাঙছে। বড়-বড় গর্ত হচ্ছে। হচ্ছে প্রাণহানি। এখনই বেআইনি বালি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পরে সমস্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা স্থানীয়দের। মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয়দের উদ্যোগে সভা হয়। মেদিনীপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মৃণাল চৌধুরির উপস্থিতিতে বালি তোলা প্রসঙ্গে নিজেদের মতামত জানান বাসিন্দারা। নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন বলে সকলেই একমত হন।
এ দিকে, এলাকার অনেকেই বালি তোলার কাজ করেন। বালি তোলা বন্ধ থাকায় তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন। এই অবস্থায় সভায় অধিকাংশ মানুষ ঘোষণা করেন, বড় গাড়িতে বালি তোলা যাবে না। বৈধ ভাবে বালি তোলা হলে আপত্তি নেই। তবে গরুর গাড়ি বা ছোট গাড়িতেই বালি বহন করতে হবে। বড় গাড়ি যাতায়াতের ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি তুলে অনেকে খড়গপুরের দিকে লরি নিয়ে চলে যায়। সংলগ্ন কেশপালে অস্থায়ী বাঁশের সেতুও রয়েছে। সেখান দিয়েই বালি বোঝাই লরি যাতায়াত করে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত। সভায় গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে দাবি করে কাউন্সিলর বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যা চেয়েছেন সভায় তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে। অবৈধ ভাবে বালি তোলায় নদীর পাড় ভাঙছে। যেখানে-সেখানে গর্ত তৈরি হচ্ছে। অবৈধ বালি তোলা বন্ধে সকলেই একমত। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনও নজরদারি চালাক।” কাউন্সিলরের বক্তব্য, “নদী থেকে বৈধ ভাবেও বালি তোলা হয়। এ ক্ষেত্রে গরুর গাড়ি বা ছোট লরি করেই বালি তুলতে হবে।” স্থানীয় কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রশাসনের নজরদারি থাকলে অবৈধ বালি তোলা সম্ভবও নয়। নজরদারি আরও বাড়াতে হবে।” |
|
|
|
|
|