|
|
|
|
এ বার তথ্যকেন্দ্র হচ্ছে থানা স্তরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় থানা-স্তরে তথ্যকেন্দ্র খোলায় উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। গ্রামের মানুষ যাতে সহজে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন সে জন্যই এই উদ্যোগ। মাওবাদী-প্রভাবিত বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরেরও সর্বত্র এই কেন্দ্র খোলার জন্য জেলা প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। এই কেন্দ্র খোলার জন্য কী প্রয়োজন, কত টাকা খরচ হতে পারে, সে বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে একটি রিপোর্টও দিতে বলা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “মূলত, গ্রামীণ মানুষকে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য পরিবেশন করার জন্যই তথ্যকেন্দ্র খোলার ব্যাপারে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি থানা এলাকায় যদি না-ও করা যায়, অন্তত দু’তিনটি থানা এলাকা মিলিয়ে একটি করে তথ্যকেন্দ্র খোলার উদ্যোগ চলছে। সেই তথ্যকেন্দ্রে এমনকী কৃষি-সম্বন্ধীয় তথ্যও মিলবে। পাশাপাশি প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজকর্ম কোথায় হয়, কোন কাজের জন্য কোন অফিসে যেতে হবে, কী করতে হবে--সেই সব তথ্যও পাওয়া যাবে। মাওবাদী প্রভাবিত জঙ্গলমহলের বেশিরভাগ মানুষই গরিব। শিক্ষায়েও পিছিয়ে। সংসার চালাতে কাজের সন্ধানে হন্যে হয়ে ঘুরতে হয়। বিপিএল কার্ড রয়েছে কি না, শস্য-বিমা করতে হলে কী করতে হবে, কোন সময়ে কোন চাষ লাভজনক, কোন ধরনের মাটিতে কোন চাষ ভাল হবে--এই বিষয়ে বেশিরভাগ মানুষই কিছুই জানেন না। এমনকী কোথায় জানা যায়, সে বিষয়েও তাঁদের কোনও ধারণা নেই। তা ছাড়াও কোনও কোনও সময়ে প্রশাসনিক দফতরে গেলে তাঁদের সাহায্য করা হয় না বলেও অভিযোগ। ফলে এ বার তাঁদের সাহায্যের জন্যই এই ধরনের তথ্যকেন্দ্র চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যের ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগ বিষয়টি দেখছে। প্রশাসনের কাছ থেকে যাবতীয় তথ্য নিয়ে তথ্যকেন্দ্রে রাখা হবে। সেখানে কম্পিউটারে ক্লিক করলেই মিলবে সব তথ্য।
কৃষি ও বনভূমি--এই দু’টি বিষয়ের উপরেই নির্ভরশীল জঙ্গলমহলের মানুষ। এলাকার বেশিরভাগ জমিই পাথুরে। সেচ-ব্যবস্থাও তেমন নেই। তবে এ বার সেচের উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় জলাধার তৈরি, সেচ-বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক পদ্ধতিতে সেচসেবিত জমিতে চাষ করা গেলে চাষিরা লাভবান হবেন বলেই প্রশাসনিক কর্তাদের মত। তার জন্য কৃষকদের নির্দিষ্ট পথে পরিচালিত করতে হবে। তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমেই সেই কাজে উদ্যোগী হচ্ছে সরকার।
অনুষ্ঠান। খড়্গপুরের গোলবাজার দুর্গামন্দিরে রবিবার নানা অনুষ্ঠান করল মাতৃসঙ্ঘ জনকল্যাণ আশ্রমের শাখা সংগঠন। হয় মেধাবী পড়ুয়াদের বৃত্তি দান, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। বক্তা ছিলেন মহাদেব মিত্র, সুজিত রায়, লক্ষ্মীনারায়ণ মণ্ডল। ভক্তিমূলক সঙ্গীত পরিবেশন করেন কাশীনাথ দাস, অর্পিতা সেনগুপ্ত। |
|
|
|
|
|