টুকরো খবর

হরিণ ধরার বিদ্যে জানতে বন দফতরের দ্বারস্থ ওড়িশা
হরিণ ধরতে রাজ্য বন দফতরের শরণাপন্ন হয়েছে ওড়িশা সরকার। পড়শি রাজ্যের ডাকে সাড়া দিয়ে বন দফতরের ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ সুব্রত পালচৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দলকে ইতিমধ্যেই নন্দনকাননে পাঠানো হয়েছে। ওড়িশার চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন এস কে শ্রীবাস্তব জানান, গত দু’দিনে সুব্রতবাবুদের তত্ত্বাবধানে অন্তত ৬৮টি হরিণ ধরা হয়েছে। ওড়িশা বন দফতরের খবর, ভুনেশ্বরের অদূরে নন্দনকাননে সিংহ এবং সাদা বাঘের ধাঁচেই একটি হরিণ-সাফারি গড়তে চলেছে তারা। ব্যাটারি চালিত গাড়িতে সাফারি ঘুরে দেখার পাশাপাশি পর্যটকেরা সেখানে নেমে পায়ে হেঁটেও তৃণভোজীদের কাছাকাছি যেতে পারবেন। সাফারি গড়তে নন্দনকাননের বিভিন্ন এনক্লোজার থেকে প্রাথমিকভাবে হরিণ ধরার পরিকল্পনা ছিল ওড়িশা বন বিভাগের। ওড়িশা বন বিভাগের এক কর্তা বলেন, “নন্দনকাননে সাফল্য মিললে পরে না হয় ওড়িশার বিভিন্ন পার্ক থেকে হরিণ সংগ্রহ করা হবে। এমনই ভাবা হয়েছিল। কিন্তু হরিণ ধরতে গিয়ে আমরা বুঝতে পারি এ বড় সহজ কাজ নয়, হরিণ ধরার ‘বিদ্যে’-ই আমাদের রপ্ত নয়!” তাদের এই অজ্ঞতার কথা কবুল করে দিন কয়েক আগে রাজ্য বন দফতরের কাছে চিঠি দিয়েছিল ওড়িশা বন দফতর। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েই সাত দিনের হরিণ ধরার কর্মসূচি নিয়ে ওড়িশায় পাঠানো হয়েছে সুব্রতবাবুকে। সুব্রতবাবু বলেন, “বন্য জন্তুদের এই রিলোকেশন বা এক জায়গা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। হরিণরাও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে সে ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হয়। কারণ ফাঁদ পেতে হরিণ ধরার সময়ে সতর্ক না থাকলে তাদের মৃত্যু অনিবার্য।” হরিণ ধরার সেই পাঠ দিতে এ বার ওড়িশায় পাড়ি দিয়েছেন তিনি।

গাছ কাটার অভিযোগ
এখানেই ছিল গাছগুলি। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম।
বনদফতরের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত রামপুরহাট পুরসভার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে বুধবার ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসকের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। পুরপ্রধান নির্মল বন্দোাপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ কাটতে গেলে অনুমতির প্রয়োজন হয় না।” বন দফতরের রামপুরহাট রেঞ্জের আধিকারিক বিশ্বনাথ ভাণ্ডারি বলেন, “পুরসভার অবশ্যই অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল।” বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস চৌধুরীর অভিযোগ, “আমরা জানতে পেরেছি পুরসভার যেখানে পাম্প হাউস আছে সেই এলাকা থেকে সম্প্রতি তিনটি শিশুগাছ, একটি সোনাঝুরি, একটি ইউক্যালিপটাস, জাম-সহ সাতটি গাছ কাটা হয়েছে। অনুমতি ছাড়াই গাছগুলি কেটে পাচার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য মহকুমাশাসকের কাছে আমরা মৌখিক ভাবে আবেদন জানিয়েছি।” রামপুরহাটের ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক (ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট) মহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, “মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে পুরসভার কাছে জানতে চাইব।” পুরপ্রধান নির্মলবাবু অবশ্য দাবি করেন, কোনও গাছ পাচার করা হয়নি। গাছ কাটার পরে নিরাপদ জায়গায় রাখা রয়েছে।

সাপের ছোবলে মৃত্যু বধূর
খাওয়ার জন্য হাঁড়ি থেকে ভাত বাড়তে গিয়েছিলেন। হাঁড়িতে হাত ঢুকোতেই খেলেন সাপের ছোবল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা গেলেন গৃহবধূ সাবিত্রী মুণ্ডা (৩৫)। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বসিরহাটের সন্দেশখালি থানার বৌঠাকুরানি গ্রামে। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ শেষ করে ওই দিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন সাবিত্রীদেবী। মাটির বাড়ি। কাজে যাওয়ার আগে সকালে ভাত রান্না করে হাঁড়িতে রেখে দিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে হাত-মুখ ধোওয়ার পরে ভাত বাড়তে যান। দেখেন হাঁড়ির ঢাকা একটু সরানো। ভেবেছিলেন স্বামী খাওয়ার পরে হয়তো ওই ভাবে রেখে গিয়েছেন। হাত ঢুকিয়ে ভাত বাড়তে যেতেই তাঁকে সাপ ছোবল মারে। যন্ত্রণায় হাত সরাতেই দেখেন হাঁড়ির ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে একটি বড় সাপ। সাপে কাটার খবর জানাজানি হতেই ডেকে আনা হয় ওঝা, গুনিনকে। কিন্তু রোগীর অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকায়া তারা পালিয়ে যায়। তড়িঘনি সাবিত্রীদেবীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা সাবিত্রীদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্ত্রীর মৃত্যুতে শোকাহত স্বামী বালক মুণ্ডা বলেন, “ওঝা, গুনিনের কাছে না গিয়ে আরও আগে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়তো ও বেঁচে যেত।

এ বার বন্দুক পাবেন বনরক্ষীরাও
চোরাশিকারিদের মোকাবিলা করার জন্য বনরক্ষীদের হাতে বন্দুক ও রবার বুলেট তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বুধবার জানান। এখন রাজ্যে পর্যাপ্ত বনরক্ষী নেই। যাঁরা আছেন, তাঁদের খালি হাতে চোরাশিকারিদের মোকাবিলা করতে অসুবিধা হচ্ছে। তিনি বলেন, ৭৭১ জন বনরক্ষী নিয়োগেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিটি জেলায় একই দিনে পরীক্ষা হবে এবং সব জেলার প্যানেল থেকেই নিয়োগ করা হবে। মন্ত্রী জানান, আলিপুর চিড়িয়াখানার উপ-অধিকর্তা বদলির জন্য আবেদন করেছেন।

গন্ডারের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কাজিরাঙায় একটি স্ত্রী-গন্ডারের মৃত্যু হল। বনবিভাগ সূত্রে খবর, আজ সকালে কোহরা রেঞ্জের হাতিকুলি চা বাগান এলাকায় বাচ্চা-সহ ঘুরছিল মা-গন্ডারটি। পাহাড়লাইন শিবিরের কাছে একটি বিদ্যুৎবাহী তারের স্তম্ভ সামনে পড়ায় গন্ডার সেটিকে গুঁতোতে থাকলে ১১ হাজার কিলো ভোল্টের তার ছিঁড়ে তার গায়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় গন্ডারটি। তবে দু’বছরের বাচ্চাটি বেঁচে গিয়েছে। বিদ্যুৎ লাইনটি কলিয়াবর থেকে বোকাখাট অবধি গিয়েছে। এর আগেও, ‘কোর’ এলাকা থেকে বিদ্যুৎবাহী তারের স্তম্ভ সরিয়ে ফেলার জন্য অসম বিদ্যুৎ পর্ষদকে অনুরোধ জানিয়েছিল বন দফতর।

হাতি ঠেকাতে ২ লক্ষ
কলাবাড়ি বনবস্তিতে বুনো হাতির হামলা ঠেকাতে ব্যাটারির বেড়ার জন্য ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করল নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতি। বুধবার ওই বনবস্তির ৪ বাসিন্দার ঘর নির্মাণে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। এ ছাড়া ১১টি ঘর মেরামতির বাবদ দেওয়া হয়েছে আরও ৫৫ হাজার টাকার মতো।

ট্রাক বোঝাই কামট আটক করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হল চালক-সহ দু’জনকে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের সুলতানপুরে মৎস্যবন্দরের কাছে। পুলিশ জানায়, ওই ট্রাকে করে বিভিন্ন সাইজের ২৪৩টি কামট পাচার করা হচ্ছিল। এই ঘটনায় ওই ট্রাকচালক ও স্থানীয় বাজারতালুক গ্রামের অনুপম মিদ্যা নামে এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Previous Story Jibjagat Next Item


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.