|
|
|
|
নাগাড়ে তাণ্ডব চালানো হাতি পোলিও নয়, বলল বনবিভাগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
চলতি মাসে পরের পর তাণ্ডব চালাতে থাকা হাতিটি ‘পোলিও’ নয় বলে জানিয়ে দিল বাঁকুড়া (উত্তর) বনবিভাগ। সোনামুখীর জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে লাগাতার হামলা চালানো, ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া, বেলিয়াতোড় রেঞ্জের ধুলিপাড়া গ্রামে এক ব্যক্তিকে আছড়ে-পিষে মেরে ফেলা এই হাতিটিকেই বাঁকুড়ার এক সময়ের ত্রাস ‘পোলিও’ বলে দাবি করছিলেন গ্রামবাসীরা। তার প্রেক্ষিতে ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) এস কুলানডেইভাল সোনামুখীর রেঞ্জ অফিসার সুধাময় রায়কে হাতিটির পায়ের ছাপ ও ছবি সংগ্রহ করার নির্দেশ দেন।
বুধবার সংগৃহীত ছবি ও পায়ের ছাপ দেখে হাতিটি ‘পোলিও’ নয় বলে ঘোষণা করে বন দফতর। তবে নাগাড়ে হামলা চালানো এই দাঁতালটিকেও ‘গুন্ডা’ হাতি ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে রাজ্য বন্যপ্রাণ শাখায় প্রস্তাব পাঠাতে চলেছে বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগ। গুন্ডা হাতি ঘোষিত হলে এই হাতিটির ‘মৃত্যুদণ্ড’ হবে। অসুস্থ থাকলে ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে অজ্ঞান করে হাতিটির চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হবে। এ দিন ডিএফও বলেন, “সোনামুখীতে হামলা চালানো হাতিটির সঙ্গে পোলিও হাতিটির পায়ের ছাপ মেলেনি। জেলায় যে ২০টি ‘রেসিডেন্ট’ হাতি রয়েছে, সদ্য লোক মারা ও ক্রমাগত হামলা চালানো হাতিটি তাদেরই অন্যতম। আমরা তদন্ত চালিয়ে খুঁটিনাটি বিচার করে এই হাতিটিকে রাজ্য বন দফতরের কাছে গুন্ডা হাতি ঘোষণা করার প্রস্তাব পাঠাচ্ছি।” কাল, শুক্রবার হাতিটির পায়ের ছাপ ও ছবির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ সংবলিত তথ্য বন দফতরের নির্দিষ্ট বিভাগে জমা দেওয়া হবে বলেও ডিএফও জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, জঙ্গল মান্না নামে এক গ্রামবাসীকে মারার পর থেকে ওই হাতিটি রাতের ঘুম কেড়েছে সোনামুখী রেঞ্জ লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দাদের। গত ৪ জুলাই সোনামুখীর কল্যাণপুর গ্রামে ঢুকে একটি মাটির ঘর ভেঙে দেয় হাতিটি। গুরুতর জখম হন ঘরে থাকা মা ও ছেলে। এর পর থেকেই টানা রাতের অন্ধকারে গ্রামগুলিতে ঢুকে ঘর ভাঙচুর, ফসল নষ্ট করা শুরু করে হাতিটি। গত শনিবার এক রাতেই সোনামুখীর বাঁধগাবা, ইঁদকাটা এবং রাজদহ গ্রামে ১৪টি বাড়ি ভাঙে দাঁতালটি। পর পর এই ঘটনাগুলির প্রেক্ষিতে দাঁতালটির আচরণ যে সুস্থ নয়, তা মেনে নেয় বন দফতর। |
|
|
|
|
|