|
|
|
|
সুদ বৃদ্ধির জেরে নিয়ন্ত্রণে আসবে ফাটকাবাজি |
এ বার গৃহ ঋণের চাহিদা কমতে পারে প্রায় ২০% |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মূল্যবৃদ্ধি রুখতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের জেরে ১৫ থেকে ২০% কমতে পারে গৃহ ঋণের চাহিদা। বুধবার এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ন্যাশনাল হাউসিং ব্যাঙ্ক (এনএইচবি)-এর সিএমডি আর ভি বর্মা। তবে এই চাহিদা কমার হাত ধরেই ফ্ল্যাটের দাম কমার সম্ভাবনাও তৈরি হবে বলে মনে করছেন তিনি। পাশাপাশি, ফাটকাবাজি নিয়ন্ত্রণেও পরোক্ষ ভাবে সাহায্য করতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই ঋণনীতি। বুধবার ফিকি আয়োজিত ‘ব্যাঙ্কিং কনক্লেভ’ শীর্ষক সভার শেষে তিনি বলেন, “সুদ বাড়ায় সমস্ত ধরনের ফ্ল্যাটের চাহিদাই কমতে পারে বলে আমার আশঙ্কা।” এ দিকে সুদ বাড়ার প্রভাবে বুধবারও শেয়ার বাজারে ছিল মন্দা ভাব। সেনসেক্স ৮৬ পয়েন্ট পড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮,৪৩২ অঙ্কে। গত দু’সপ্তাহে সব চেয়ে নীচে।
বর্মার মতে, আগামী দিনে গৃহ ঋণের চাহিদা কমবে ১৫-২০ শতাংশ। তবে তাঁর ধারণা, “সুদ বাড়ার পরে ফ্ল্যাট বা বাড়ি কেনাবেচার ক্ষেত্রে ফাটকাবাজি কমবে। অনেক ক্ষেত্রেই প্রোমোটাররা ভবিষ্যতে দাম বাড়তে পারে বলে ফ্ল্যাট বা বাড়ি তৈরি করেও চটজলদি তা বিক্রি করেন না। ধরে রাখেন। কিন্তু বতর্মান পরিস্থিতিতে ওই প্রবণতা কমার সম্ভাবনা।” তা ছাড়া চাহিদা কমায় ফ্ল্যাট এবং বাড়ির দাম কমতে পারে প্রায় ২০%।
আবাসন শিল্পের অগ্রগতির জন্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে সরকারি সহযোগিতা জরুরি বলেও এই দিন মন্তব্য করেন বর্মা। জমি পাওয়ার বিষয়টি ওই শিল্পের কাছে একটা জটিল সমস্যার আকার নিচ্ছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবাসন গড়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ গড়ে তোলার উপর জোর দেন বর্মা। বিশেষত জমি পাওয়ার বিষয়ে। আবাসন শিল্পে জমির সমস্যা মেটাতে জমির ঊর্ধ্বসীমা সংক্রান্ত আইন তুলে দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেন বর্মা। বেশ কিছু রাজ্যে এই আইন তুলে দেওয়া হলেও পশ্চিমবঙ্গে তা বহাল রয়েছে।
এ দিকে গৃহ ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক সংস্থাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ‘মর্টগেজ গ্যারান্টি’ শীর্ষক ১,২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গড়ছে কেন্দ্র। আর্থিক দিক থেকে দুর্বল গ্রাহকদের নেওয়া গৃহ ঋণ অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হলে, সেই ক্ষতি ওই তহবিল থেকে পূরণ করা হবে।
এই অর্থবর্ষে এনএইচবি ১২,৫০০ কোটি টাকার ঋণ বণ্টনের পরিকল্পনা নিয়েছে। গত বছর তা ছি১২ হাজার কোটি।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে এই ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ বৃদ্ধিই আপাতত শেষ দফার বলে অনেক বিশেষজ্ঞ ইঙ্গিত দিয়েছেন। কিন্তু সেই যুক্তি খণ্ডন করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “মনে হয় না আমরা সুড়ঙ্গের শেষে পৌঁছেছি। এটা ঠিক যে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যথেষ্ট সুদ বাড়িয়েছে। তবে তাতে আশ্চর্য হইনি। কারণ এই পরিস্থিতিতে সেটাই ছিল শ্রেয়।” |
|
|
|
|
|