হাড়গোড় উদ্ধার মামলা
এ বার গ্রেফতার সুশান্তর প্রাক্তন আপ্ত-সহায়ক
হাড়গোড় উদ্ধারের যে মামলায় নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের, সেই ঘটনাতেই এক সিপিএম কর্মী এবং এক সমর্থককে গ্রেফতার করল সিআইডি। ধৃতদের মধ্যে এক জন একটা সময় সুশান্তবাবুর আপ্ত-সহায়কও ছিলেন। ক’দিন আগে এই মামলায় শর্তসাপেক্ষে আগাম জামিন পেয়েছেন সিপিএম নেতা সুশান্তবাবু।
রবিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় গুণধর রাণাকে। বিকেলে ধরা পড়েন দেবাশিস পাইন। গুণধরের বাড়ি কেশপুরের আনন্দপুরের সোলডিহায়। আর গোয়ালতোড় স্কুলের শিক্ষক দেবাশিস থাকেন আনন্দপুরেরই রানিয়র গ্রামে। সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, সুশান্তবাবু যখন প্রথম বার রাজ্যের মন্ত্রী হন, তখন বছর তিনেক তাঁর আপ্ত-সহায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন দেবাশিস। তবে দলের কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে কখনওই ছিলেন না। সম্প্রতি দলের সঙ্গে সে রকম যোগাযোগও ছিল না। গুণধর এলাকায় সিপিএম সমর্থক হিসেবেই পরিচিত। আজ, সোমবার ধৃতদের আদালতে হাজির করানো হবে। হাড়গোড়-কাণ্ডে এই নিয়ে তিন জন ধরা পড়লেন। এর আগে শেখ সইফুল নামে এক সিপিএম কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে পালাবদল হওয়ার পরে পরেই জুন মাসে সুশান্ত ঘোষের দেশের বাড়ির অদূরে, গড়বেতার বেনাচাপড়া লাগোয়া দাসেরবাঁধ থেকে বেশ কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, ২০০২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কেশপুরের পিয়াশালা গ্রামে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনী তাদের যে ৭ জন কর্মী-সমর্থককে খুন করে দেহ লোপাট করেছিল (পরে দু’জনের দেহ মেলে), ওই হাড়গোড় তাঁদেরই। ওই বছরই সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন তৃণমূল কর্মী অজয় আচার্য। পিয়াশালার অদূরে খেতুয়া গ্রামে তাঁর বাড়ি। দাসেরবাঁধে খুলি-হাড়গোড় উদ্ধারের পরে অজয়বাবুর ছেলে শ্যামল দাবি করেন, এর মধ্যে তাঁর বাবার দেহাবশেষ রয়েছে।
হাড়গোড়-কাণ্ডে সুশান্তবাবু-সহ মোট ৪০ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হয়েছে। এ দিন ধৃত দু’জনেরই নাম রয়েছে অভিযুক্তদের তালিকায়। ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পারে, বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে আগেই গ্রেফতার হওয়া শেখ সইফুলও হাড়গোড় উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্ত। এ দিন ধরা পড়া দেবাশিস ও গুণধরকে জেরা করে বাকি অভিযুক্তদের সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য মিলবে বলে সিআইডি-র ধারণা।
শনিবারই অন্য একটি হাড়গোড়ের মামলায় কেশপুরের সিপিএম কর্মী শেখ অমাইলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি। গত ১২ জুন কেশপুরের পাওনা গ্রামে মাটি খুঁড়ে কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয়। ওই হাড়গোড় ২০০০ সাল থেকে ‘নিখোঁজ’ তৃণমূল কর্মী জগন্নাথপুরের মওদুদ হোসেনের বলে দাবি তাঁর আত্মীয়দের। হাড়গোড় শনাক্তকরণে ডিএনএ টেস্টের জন্য ইতিমধ্যেই মওদুদের পরিজনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
First Page Medinipur Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.