সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে পা রাখল সি ই এস সি
রিকল্পনা মতোই এ বার সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প হাতে নিল দেশের প্রাচীনতম কয়লা-নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থা সিইএসসি। তবে এ রাজ্যে নয়, গুজরাতে। ডিসেম্বরের মধ্যেই ৯ মেগাওয়াটের এই প্রকল্পে উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে বলে সংস্থা সূত্রের খবর। ৫৫ একর জমির উপর এই প্রকল্পে লগ্নি ১০০ কোটি টাকা।
এ রাজ্যেও কি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে আগ্রহী তাঁরা? সিইএসসি-র তরফে বলা হয়েছে, গুজরাত বা রাজস্থানে সূর্যের আলোর যতটা তাপ, তা এ রাজ্যে নেই। তাই ওই সব রাজ্যের মতো সফল হবে না এ রাজ্যের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প।
‘সোলার ফোটো ভোল্টিক সেল’ প্রযুক্তিতে সূর্যের আলো সরাসরি কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। সিইএসসি-র প্রকল্পটি হবে এই প্রযুক্তিতেই। গুজরাত সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে প্রথম কয়েক বছর সিইএসসি-র কাছ থেকে তারা বিদ্যুৎ কিনে নেবে ইউনিট প্রতি ১২ টাকায়। পরে দাম হবে ৫ টাকা।
প্রকল্পের বিভিন্ন ‘মডিউল’ সিইএসসি কিনছে চিন, হংকং ও আমেরিকার বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে। প্রত্যেকের প্রযুক্তি ভিন্ন। এক সিইএসসি কর্তা বলেন, “আমরা সবে হাত পাকাচ্ছি। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখব কোনটি কেমন।”
আগামী ২৯ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে সিইএসসি-র বার্ষিক সাধারণ সভা। সংস্থার চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ গোয়েন্কা জানিয়েছেন, দেশে তীব্র বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গেলেও তারা অনেকেই সমস্যায়। প্রকল্প হাতে নেওয়ার সময় সিইএসসি ভেবেছিল ঘাটতির বাজারে ইউনিট প্রতি অন্তত ৫ টাকায় বিদ্যুৎ বিক্রি করে লাভ ঘরে তোলা সম্ভব হবে। বাস্তবে বাজারে বিদ্যুতের দাম একেবারে পড়ে গিয়েছে। ইউনিট প্রতি
৩ টাকা ৬০ পয়সা মাসুল আদায়ও কঠিন। কেননা, অধিকাংশ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলি এমনই আর্থিক সঙ্কটে ডুবে রয়েছে যে, বেশি দাম দিয়ে বাজার থেকে বিদ্যুৎ কেনার মতো টাকাই নেই তাদের হাতে।

পর্যটন শিল্পে ৬০০ কোটির বেশি বিনিয়োগ করবে গুজরাত
উৎপাদন শিল্পের অন্যতম পছন্দের গন্তব্য গুজরাত। এ বার পর্যটন শিল্পেরও গন্তব্য হিসেবে একই স্বীকৃতি চায় তারা। তাই উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়তে আগামী তিন বছরে ৬০০ কোটি টাকারও বেশি লগ্নি করবে গুজরাত সরকার।
গুজরাতের পর্যটন সচিব বিপুল মিত্র সম্প্রতি কলকাতায় জানান, গত জানুয়ারির ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’ অনুষ্ঠানে মোট ২১ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নির প্রস্তাব পেয়েছিল ওই রাজ্য। এর মধ্যে ৭৫ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব এসেছিল পর্যটন শিল্পে। তিনি উল্লেখ করেন, লগ্নি প্রস্তাব বাস্তবায়িত করার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো নির্মাণেই জোর দিচ্ছেন তাঁরা। এ জন্যই খরচ করা হবে প্রায় ৬৩৫ কোটি টাকা। কারণ পরিষেবা শিল্পের মধ্যে পর্যটনকেই তাঁরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি জানান, সারা বছর গুজরাতে আসা পর্যটকের প্রায় ১০ শতাংশই পূর্ব ভারতীয়। এর মধ্যে বেশির ভাগই বাঙালি। তাই বাঙালি পর্যটকদের জন্য নতুন পসরা নিয়ে তাঁরা হাজির হয়েছিলেন সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত পর্যটন মেলায়।
Previous Story Business First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.